সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস মুঘল সাম্রাজ্য চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর | Class-7-History-Chapter-5



(toc) #title=(Table of Content)


  শর্ট কোশ্চেন (মার্ক-১)  

১. কোন মুঘল সম্রাটের শাসনকালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রাজপুত মনসবদারি ব্যবস্থার আওতায় আসে?
➺ ঔরঙ্গজেবের সময়ে।
২. রাজস্থানের ভাষায় ‘ওয়াড়' শব্দের অর্থ কী?
➺ রাজস্থানের ভাষায় 'ওয়াড়' শব্দের অর্থ হল একটি বিশেষ অঞ্চল।
৩. রাঠোর যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?
➺ ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে মারওয়াড়ের রাঠোর রাজপুত এবং মুঘলদের মধ্যে রাঠোর যুদ্ধ হয়েছিল।
৪. আকবর জিজিয়া কর তুলে নেওয়ার একশো বছর পরে কে আবার জিজিয়া কর চাপিয়েছিলেন?
➺ আকবর জিজিয়া কর তুলে নেওয়ার একশো বছর পরে ঔরঙ্গজেব আবার জিজিয়া কর চাপিয়েছিলেন।
৫. ঔরঙ্গজেব কত খ্রিস্টাব্দে জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তন করেন?
➺১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তন করেন।
৬. খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকের দ্বিতীয় ভাগে দাক্ষিণাত্যে অবস্থিত কয়েকটি রাজ্যের নাম লেখো।
➺ খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকের দ্বিতীয় ভাগে দাক্ষিণাত্যে অবস্থিত কয়েকটি রাজ্য ছিল বিজাপুর, গোলকুণ্ডা, আহমেদনগর, বেরার, বিদর ও খান্দেশ।
৭. আসিরগড় দুর্গটি কোথায় অবস্থিত ছিল?
➺ আসিরগড় দুর্গটি খান্দেশে অবস্থিত।
৮. আহমেদনগর কত খ্রিস্টাব্দে মুঘলদের দখলে আসে?
➺ আহমেদনগর ১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে মুঘলদের দখলে আসে।
৯. কোন মুঘল সম্রাট দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকুণ্ডা অঞ্চল দুটি জয় করেন?
➺ ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকুণ্ডা অঞ্চলে দুটি জয় করেন।
১০. ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ কীজন্য বিখ্যাত?
➺ ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যু ঘটে।
১১. মুঘল সাম্রাজ্যের মূল প্রশাসনিক আদর্শ কী ছিল?
➺ মুঘল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক আদর্শ ছিল মূলত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে একটি যথার্থ ভারতীয় সাম্রাজ্য গড়ে তোলা।
১২. সুহ-ই-স্কুল কী?
➺ মুঘল সম্রাট আকবর কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত না করে সকলের প্রতি সহনশীলতা ও শান্তির পথ গ্রহণ করেন, এই পথকেই বলা হয় সুলহ-ই-কুল।
১৩. 'দীন-ই-ইলাহি' কে প্রবর্তন করেন? 
অথবা, দীন-ই-ইলাহির প্রবর্তক কে?
➺ 'দীন-ই-ইলাহি' প্রবর্তন করেন আকবর।
১৪. দীন-ই-ইলাহি কী?
➺ সুলহ-ই-কুল আদর্শের ভিত্তিতে আকবর একটি ব্যক্তিগত মতাদর্শ গড়ে তুলেছিলেন তাকেই বলা হয় দীন-ই-ইলাহি।
১৫. আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে কী কী ভাগে ভাগ করেছিলেন?
➺ আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশ অর্থাৎ সুবায় ও সুবাগুলিকে সরকারে এবং সরকারগুলিকে
১৬. মনসব পদাধিকারীদের কী বলা হত?
➺ মনসব পদাধিকারীদের বলা হত মনসবদার।
১৭. জায়গির কী?
➺ মুঘল প্রশাসনে মনসবদারদের বেতন বাবদ রাজস্বের বরাত দেওয়া হত, রাজস্বের এই বরাতকেই বলা হত জায়গির। যিনি জায়গির পেতেন, তিনিই হতেন জায়গিরদার।
১৮. জায়গিরদারি ব্যবস্থা কাকে বলা হত?
➺ মনসবদারদের বেতন বাবদ রাজস্বের বরাত দান অর্থাৎ জায়গিরদানের ব্যবস্থাকে বলা হত জায়গিরদারি ব্যবস্থা।
১৯. করোরী কাদের বলা হত?
➺ রাজস্ব আদায় করত এবং কানুনগোদের তথ্য মিলিয়ে দিত যেসব কর্মচারী তাদের বলা হত করোরী।
২০. দহসালা ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ?
➺ আকবরের আমলে প্রবর্তিত আগের দশ বছরের জমি বিষয়ক তথ্যের ভিত্তিতে আদায় করা রাজস্ব ব্যবস্থাকে বলা হয় দহসালা ব্যবস্থা।
২১. কত সালে আকবরের মৃত্যু ঘটে?
➺ আকবরের মৃত্যু ঘটে ১৬০৫ সালে।
২২. বারোভূঁইয়া নামে কারা পরিচিত ছিলেন?
➺ জাহাঙ্গিরের সময়ে বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগান বিদ্রোহীরা একসঙ্গে ‘বারোভূঁইয়া' নামে পরিচিত ছিলেন।
২৩. মুঘল-দরবারী অভিজাতদের দ্বন্দ্বে কারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন?
➺ মুঘল-দরবারী অভিজাতদের দ্বন্দ্বে সম্রাজ্ঞী নূরজাহান, শাহজাদা খুররম, নূরজাহানের পরিবারের সদস্যরা ও অন্যান্য কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।
২৪. শাহ জাহানের অপর নাম কী ছিল?
➺ শাহ জাহানের অপর নাম ছিল খুররম।
২৫. সিংহাসন নিয়ে শাহ জাহানের কোন দুই পুত্রের মধ্যে সামুগড়ের যুদ্ধ বাধে?
➺ সিংহাসন নিয়ে শাহ জাহানের দুই পুত্র ঔরঙ্গজেব ও দারাশিকোহ-র মধ্যে সামুগড়ের যুদ্ধ বাঁধে।
২৬. ঔরঙ্গজেব কত বছর রাজত্ব করেছিলেন?
➺ ঔরঙ্গজেব ১৬৫৮-১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রায় ৪৯ বছর রাজত্ব করেছিলেন।
২৭. কারা কীভাবে বাংলাকে পোর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে?
➺ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে পোর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
২৮. আকবরের অভিভাবক কে ছিলেন?
➺ আকবরের অভিভাবক ছিলেন বৈরাম খাঁ।
২৯. হিমু কে ছিলেন?
➺ হিমু ছিলেন শের শাহের আত্মীয় আদিল শাহের প্রধানমন্ত্রী।
৩০. পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?
➺ পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল বৈরাম খাঁর অভিভাবকত্বে থাকা আকবরের সঙ্গে আফগানদের।
৩১. নবরত্ন কাদের বলা হত?
➺ আকবরের দরবারে বহু বিশিষ্ট গুণী মানুষদের মধ্যে নয়জনকে একত্রে বলা হত নবরত্ন ।
৩২. বীরবল কে ছিলেন?
➺ আকবরের দরবারের নবরত্নের মধ্যে একজন ছিলেন বীরবল।
৩৩. ‘গাজি’ শব্দের অর্থ কী?
➺ গাজি শব্দের অর্থ হল ধর্মযোদ্ধা।
৩৪. খানুয়ার যুদ্ধে কে জয়ী হন?
➺ খানুয়ার যুদ্ধে জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর জয়ী হন।
৩৫. বিলগ্রামের যুদ্ধ (১৫৪০ খ্রি.) কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়?
➺ মুঘল সম্রাট হুমায়ুন এবং আফগান সেনানায়ক শের খানের মধ্যে বিলগ্রামের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। হুমায়ুন বিলগ্রামের যুদ্ধে শের শাহের কাছে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়েছিলেন।


Very Importance Mark-2/3 Questions

 𒀭𒀭𒀭Mark-2/3 Questions   
১. জাবতি বন্দোবস্তের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 
অথবা, টীকা লেখো: জাবতি ব্যবস্থা।
➺ জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ পদ্ধতির নাম ‘জাবতি’। ‘জাবত' শব্দের অর্থ হল নির্ধারণ। আকবর প্রতি বছরের এবং প্রতিটি এলাকার আলাদা হিসাব চালু করেছিলেন। আগের দশ বছরের তথ্যের ভিত্তিতে চালু এই ব্যবস্থার নাম হয় দহসালা বা দশসালা ব্যবস্থা। আকবরকে এই ব্যবস্থা প্রচলনে সাহায্য করেছিলেন তাঁর রাজস্ব মন্ত্রী টোডরমল ও কয়েকজন কর্মচারী।

২. বারোভূঁইয়া কাদের বলা হত?
➺ জাহাঙ্গিরের আমলে বাংলার হিন্দু জমিদার এবং আফগানরা মুঘলদের বিরুদ্ধে বহুবার বিদ্রোহ করেছিলেন। এঁদের একসঙ্গে ‘বারোভূঁইয়া’বলা হত । ‘বারোভূঁইয়া’বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এঁদের সংখ্যা ছিল বারোর অনেক বেশি। এঁদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন—ঈশা খাঁ ও তাঁর পুত্র মুসা খাঁ (সোনার গাঁও), কেদার রায় (শ্রীপুর), প্রতাপাদিত্য (যশোর-খুলনা), উসমান খাঁ (শ্রীহট্ট), মজলিস কুতব (ফরিদপুর),রামচন্দ্র (বাখরগঞ্জ জেলার বালা), অনন্তমাণিক্য (নোয়াখালি) প্রমুখ।

৩. বাদশাহ বা পাদশাহ বলতে কী বোঝ?
➺ বাদশাহ বা পাদশাহ একটি ফারসি শব্দ, পাদ অর্থাৎ প্রভু এবং শাহ অর্থাৎ শাসক বা রাজা। এই দুটি শব্দযোগের ফলে পাদশাহ কথাটি সৃষ্টি হয়। মুঘলরা সার্বভৌম শাসকের ক্ষেত্রে পাদশাহ অথবা বাদশাহ শব্দটি ব্যবহার করত।

৪. মুঘল যুগে সার্বভৌম শাসক বলতে কী বোঝ?
➺ সার্বভৌম শাসক বলতে বোঝায় সব ভূমির ওপর যাঁর আধিপত্য রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সমস্ত ভূমি বা গোটা পৃথিবীর ওপর কোনো একজনের আধিপত্য থাকতে পারে না। তাই বলা যায়, একটি বিশাল অঞ্চলের ওপর যাঁর আধিপত্য রয়েছে এবং যিনি সেখানে নিজের ক্ষমতায় শাসন করেন তিনিই হলেন সার্বভৌম শাসক।

৫. কবুলিয়ত ও পাট্টা কী?
কবুলিয়ত : শের শাহের রাজস্ব ব্যবস্থায় কৃষক জমিতে নিজের স্বত্বের বিনিময়ে রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে রাষ্ট্রকে যে দলিল দিত তা কবুলিয়ত নামে পরিচিত। ❏ পাট্টা: কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার, কত রাজস্ব দিতে হবে প্রভৃতি লিখে শের শাহ যে দলিল কৃষককে দিতেন তা পাট্টা নামে পরিচিত ।

৬. দাগ ও হুলিয়া কী?
➺ প্রকৃতপক্ষে সুলতান আলাউদ্দিন খলজির আমলে সেনাবাহিনীতে দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য দাগ ও হুলিয়া প্রথা চালু করেন। সেনাবাহিনীতে ঘোড়াকে চিহ্নিত করার ব্যবস্থাকে 'দাগ' বলা হত আর সৈনিকদের পরিচয় ও দৈহিক বর্ণনার নথি রাখার ব্যবস্থাকে 'হুলিয়া' বলা হত।

৭. পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল?
➺ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে আকবর ও হিমুর মধ্যে পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ হয়েছিল।

৮. পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব কী?
➺ আকবরের অভিভাবক বৈরাম খাঁর নেতৃত্বে মুঘল বাহিনী এবং হিমুর নেতৃত্বে আফগানদের মধ্যে দ্বিতীয় পানিপতের যুদ্ধ রাধে (১৫৫৬ খ্রি.)। এই যুদ্ধের গুরুত্ব হল যে এই যুদ্ধে জিতে আকবর দিল্লিতে পুনরায় হারানো মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এই যুদ্ধ জয়ের ফলে পরবর্তীকালে একে-একে মধ্য ভারত ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের কাছে কয়েকটি ছোটো রাজ্য এবং চিতোর, গুজরাট, বাংলা ইত্যাদি অঞ্চল জয় করা আকবরের পক্ষে সহজ হয়।

৯. হলদিঘাটের যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়?
➺ ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে মেওয়াড়ের রানা প্রতাপ সিংহ ও আকবরের নেতৃত্বে মুঘলদের মধ্যে হলদিঘাটির যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে রানা প্রতাপ পরাজিত হলেও বশ্যতা স্বীকার করেননি। আমৃত্যু তিনি মুঘলদের বিরোধিতা করেন।

১০. বীরবল কেন বিখ্যাত?
➺ আকবরের দরবারের নবরত্নের মধ্যে একজন ছিলেন রাজা বীরবল। তাঁর বুদ্ধির জোরেই তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। তাঁর বুদ্ধির স্বীকৃতিস্বরূপ আকবর তাঁকে 'রাজা' উপাধি দেন এবং ওয়াজির-ই-আজম বা প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করেন।

১১. মুঘলরা নিজেদের মুঘল বলে মনে করত না কেন?
➺ মুঘলরা ভারতে শাসনপ্রতিষ্ঠার প্রায় একশো বছর আগে তৈমুর লঙ উত্তর ভারত আক্রমণ করেছিলেন। তাই মুঘলরা মনে করত উত্তর ভারতে তাদের শাসনের অধিকার আছে। পাশাপাশি তারা বীর যোদ্ধা তৈমুরের বংশধর হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করত। অপরদিকে চেঙ্গিস খান মোঙ্গল নেতা হলেও চেঙ্গিসের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা কম ছিল। তাই তারা নিজেদেরকে মুঘল বলে মনে করত না।

১২. হলদিঘাটের যুদ্ধের পরিচয় দাও। 
➺ আকবরের মুঘল বাহিনী চিতোর আক্রমণ করে এর দখল নেয়। এরপর একে-একে রাজপুত রাজারা আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে নেয়। কিন্তু রানা উদয় সিংহ আমৃত্যু মুঘলদের কাছে মাথা নত করেননি। উদয় সিংহের মৃত্যুর পর তাঁর সুযোগ্য পুত্র রানা প্রতাপ সিংহও এই লড়াই চালিয়ে যান। মেবারের পশ্চিমাংশ দখলের লক্ষ্যে অম্বরের মান সিংহ ও আসফ খানের নেতৃত্বাধীন মুঘল বাহিনী অগ্রসর হয়। রানা প্রতাপ তাদের বাধা দিতে এগিয়ে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হলদিঘাটের যুদ্ধ (১৫৭৬ খ্রি.)। এই যুদ্ধে রানা প্রতাপ পরাজিত হলেও বশ্যতা স্বীকার করেননি। আমৃত্যু তিনি মুঘলদের বিরোধিতা করেন৷

১৩. বাংলার বারোভূঁইয়াদের সম্পর্কে কী জান? 
➺ বারোভূঁইয়া: আকবরের পুত্র ও উত্তরসূরি জাহাঙ্গিরের আমলে (১৬০৫-২৭ খ্রি.) বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা বারবার মুঘলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। এই বিদ্রোহীদের একসঙ্গে বলা হত ‘বারোভূঁইয়া’। 𒀭 বিখ্যাত বারোভুঁইয়ারা: বারোভূঁইয়াদের মধ্যে প্রতাপাদিত্য, চাঁদ রায়, কেদার রায়, ইশা খান প্রমুখ বিখ্যাত ছিলেন। এঁদের মধ্যে প্রতাপাদিত্য ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী। তবে ইশা খানের প্রতিপত্তিও কম ছিল না। 𒀭 জাহাঙ্গিরের প্রচেষ্টা: বাংলার জমিদারদের নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করেন জাহাঙ্গির। তাঁর আমলে বাংলা ভালোভাবে মুঘল সাম্রাজ্যভুক্ত হয়ে পড়ে ৷

১৪. শাহ জাহানের মধ্য এশিয়া অভিযানের পরিচয় দাও।
উদ্দেশ্য :উপজাতি বিদ্রোহ দমন: মধ্য এশিয়া অভিযানের পেছনে শাহ জাহানের উদ্দেশ্য ছিল দুর্ধর্ষ পার্বত্য উজবেক উপজাতিকে দমন করা। ② সমরখন্দে আধিপত্য বিস্তার: মধ্য এশিয়ার সমরখন্দ ছিল মুঘলদের প্রাচীন বাসভূমি। তাই অন্যান্য মুঘল সম্রাটের মতো শাহ জাহানও সেখানে ক্ষমতা কায়েম করতে চেয়েছিলেন।

নেতৃত্ব : শাহ জাহানের নির্দেশ মেনে প্রথমে যুবরাজ মুরাদ ও আলিমর্দান এবং পরে ঔরঙ্গজেব মধ্য এশিয়ার বলখ ও বদখশান অঞ্চলে অভিযান চালায়। কিন্তু শেষপর্যন্ত উজবেকদের তীব্র প্রতিরোধের জন্য মুঘল সেনাবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। ফলে ব্যর্থ হয় শাহ জাহানের মধ্য এশিয়া নীতি। মুঘল সাম্রাজ্য

১৫. শের শাহ সড়ক ব্যবস্থায় কী ধরনের উন্নতি ঘটান?
❏ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে শের শাহ সড়কের উন্নয়ন ঘটান। তাঁর নির্মিত উল্লেখযোগ্য তিনটি সড়ক সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হল— ① প্রথম সড়ক : তিনি বাংলার সোনার গাঁ থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পেশোয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সড়ক সংস্কার করেন, যা ‘সড়ক-ই-আজম' নামে পরিচিত। এই রাস্তাটি পরবর্তীকালে 'গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড' নামে পরিচিত হয়। ② দ্বিতীয় সড়ক : শের শাহ আগ্রা থেকে যোধপুর হয়ে চিতোর পর্যন্ত একটি সড়ক তৈরি করেন। ③ তৃতীয় সড়ক : তাঁর আমলে লাহোর থেকে মুলতান পর্যন্ত আরও একটি রাস্তা তৈরি হয়। শেরশাহ সড়ক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটালে, যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটে, যা পরবর্তীকালে মুঘল সম্রাটদের শাসনকার্যে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।

১৬. টীকা লেখো: পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ।
❏ দিল্লিতে মুঘল শাসকের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে আদিল শাহের হিন্দু সেনাপতি হিমু দিল্লি দখল করেন। ① পটভূমি: দিল্লি দখলের সংবাদ পেয়ে আকবর শাসনক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লির সিংহাসন দখলের উদ্যোগ নিলে ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ② যুদ্ধ: বৈরাম খাঁ-র সাহায্যে আকবর সম্মুখসমরে হিমুকে পরাজিত ও বন্দি করেন। পরে হিমুর শিরশ্ছেদ করা হয় । ③ গুরুত্ব : (i) দিল্লিতে পুনরায় মুঘল শাসনের প্রতিষ্ঠা ঘটে এবং (ii) হিমুর হিন্দু রাজ্য স্থাপনের স্বপ্ন বিলুপ্ত হয়। জেনে দ্বিতীয় পানিপতের যুদ্ধে মুঘল সেনাদের ছোড়া একটি তির হিমুর রাখো চোখে লাগলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। নেতার অভাবে হিমুর বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। তিনি ধরা পড়লে তাঁর শিরশ্ছেদ করা হয়।

১৭. মুঘলদের মেওয়াড় অভিযানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
অথবা, মুঘলদের মেওয়াড় অভিযান সম্পর্কে যা জানো লেখো।
➺ মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দ চিতোর জয় করেন। পরবর্তী সময়ে আকবরের সঙ্গে রাজপুতদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠলেও একমাত্র উদয় সিংহের ছেলে রানা প্রতাপ সিংহ মুঘলদের অধীনতা মেনে নেননি। তাই আকবরের সঙ্গে রানা প্রতাপ সিংহের হলদিঘাটের যুদ্ধ বাধে (১৫৭৬ খ্রি.)। এই যুদ্ধে রানা প্রতাপ হেরে গেলেও পরে তিনি বারবার মুঘলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

১৮. টীকা লেখো : মুঘল আফগান দ্বন্দ্ব।
অথবা, মুঘল-আফগান দ্বন্দ্ব বলতে কী বোঝায়?
➺ পানিপতের প্রথম যুদ্ধে (১৫২৬ খ্রি.) বাবর আফগান শক্তিকে পরাজিত করে দিল্লিতে মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দিল্লির মুঘল শাসকদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আফগান শক্তি। হুমায়ুনের সঙ্গে আফগান শাসক শের খান দু-বার যুদ্ধে লিপ্ত হন। ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে বিহারের চৌসার যুদ্ধে আর ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে কনৌজের কাছে বিশ্বগ্রামের যুদ্ধে মুঘল ও আফগান শক্তি মুখোমুখি হয়। এই দুই যুদ্ধেই হুমায়ুন শের খানের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।

১৯. মুঘল কারা?
➺  একদিকে মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিস খান এবং অপরদিকে তুর্কি নেতা তৈমুর লঙ-এর বংশধরদের আমরা মুঘল বলে জানি। মুঘলরা নিজেদেরকে তৈমুর লঙ-এর বংশধর বা তৈমুরীয় বলে ভাবত। চেঙ্গিস খানের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা কম ছিল। খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতক থেকে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়কালে মুঘলরা ভারতবর্ষ শাসন করেছিল। ভারতবর্ষের প্রথম মুঘল বাদশাহ ছিলেন জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর (১৫২৬-৩০ খ্রি.)।

২০. টীকা লেখো: পানিপতের প্রথম যুদ্ধ। 
অথবা, পানিপতের প্রথম যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো।
➺  ভারতের ধনসম্পদের প্রলোভন এবং স্থায়ী সাম্রাজ্য স্থাপনের স্বপ্ন নিয়ে বাবর ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন। [1] পটভূমি : লোদি বংশের অন্তর্কলহ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বাবরের সামনে ভারতবর্ষ আক্রমণের সুযোগ এনে দেয়। [2] যুদ্ধ: বাবর পাঞ্জাব জয় করে দিল্লির দিকে অগ্রসর হলে ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপতের প্রান্তরে ইব্রাহিম লোদির সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ হয়। [3] ফলাফল : পানিপতের প্রথম যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে লোদি বংশের পতন ঘটে এবং মুঘল শাসনের সূচনা হয় ৷

২১. কোন কোন যুদ্ধকৌশল বাবরকে জয়ী করে?
➺ পানিপত ও খানুয়ার যুদ্ধের উন্নত যুদ্ধকৌশলই বাবরকে জয়ী হতে সাহায্য করে। [1] কামানের ব্যবহার : কামানের গোলার সামনে ইব্রাহিম লোদির সৈন্যদের তিরধনুক, তরবারি ও বল্লম অকেজো হয়ে পড়ে এবং বাবর জয়ী হন। [2] তুলঘুমা ও রুমি পদ্ধতির প্রয়োগ : (i) বাবর যুদ্ধক্ষেত্রে উন্নত তুলঘুমা’ ও ‘রুমি’ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। গোলন্দাজ বাহিনীর সঙ্গে তীব্র গতিসম্পন্ন উজবেকী অশ্বারোহী বাহিনীর মিলিত আক্রমণকে বলা হত ‘তুলঘুমা’ পদ্ধতি। (ii) গোরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়ি বা কাঠ-জাতীয় কিছু জিনিস সারিবদ্ধভাবে রেখে প্রথমে একটি কৃত্রিম প্রাচীর তৈরি করা এবং তার পিছনে মাটির ঢিবির ওপর কামান রেখে যুদ্ধ পরিকল্পনা করার নাম ছিল 'রুমি পদ্ধতি”।

২২. কবে, কাদের মধ্যে ঘর্ঘরার যুদ্ধ হয়েছিল? কে জয়লাভ করেন?
➺ মামুদ লোদির সম্মিলিত আফগান বাহিনীর সঙ্গে ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে পাটনার উত্তরে গঙ্গা ও ঘর্ঘরা (বা গোগরা) নদীর সঙ্গমস্থলে বাবরের নেতৃত্বে মুঘল বাহিনীর ঘর্ঘরার যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে আফগানরা পরাজিত হয়ে বশ্যতা স্বীকার করে। বাবর জয়লাভ করায় ভারতবর্ষে মুঘল আধিপত্য সুদৃঢ় হয় ।

২৩. বাবরের প্রার্থনাটি কী ছিল?
➺ কিংবদন্তি অনুসারে, হুমায়ুন আফগানিস্তানের বদখশান থেকে ভারতে আসার পর খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবর হুমায়ুনের এই অসুস্থতার খবর পেয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। হুমায়ুন দিল্লিতে এলে কেউ একজন বাবরকে পরামর্শ দেন যে, হুমায়ুনের খুব প্রিয় জিনিস ঈশ্বরকে উৎসর্গ করলে হুমায়ুন বেঁচে উঠবেন। তখন বাবর ঈশ্বরের কাছে নিজের জীবন উৎসর্গ করার প্রার্থনা জানান। এই প্রার্থনার পর হুমায়ুন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বাবর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে হুমায়ুন প্রাণে বেঁচে উঠলেও বাবর মারা যান। এই ঘটনাটিই ‘বাবরের প্রার্থনা' নামে পরিচিত।

২৪. জাবতি কী?
➺  খলজি শাসক আলাউদ্দিন খলজির আমল থেকেই রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য জমি মাপা বা জমি জরিপের ব্যবস্থা ছিল। আকবর নতুন করে জমি জরিপ করান। জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করার পদ্ধতিকে বলা হয় ‘জাবতি’।

২৫. 'দহসালা ব্যবস্থা' কাকে বলে ?
➺ রাজধানীতে শস্যমূল্য অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশি হওয়ায় রাজধানীর হিসেবে ধরলে কৃষকদের আরও বেশি রাজস্ব দিতে হত। সেকারণে আকবর প্রত্যেক বছরের এবং প্রতিটি এলাকার আলাদা হিসাব চালু করলেন। আগের দশ বছরের জমি বিষয়ক তথ্যের ভিত্তিতে চলা এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ‘দহসালা’ ব্যবস্থা। আর ‘দহ’ মানে দশ। টোডরমল এবং আরও কয়েকজন রাজর্মচারীর প্রচেষ্টায় আকবর ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে 'দহসালা’ ব্যবস্থা চালু করেন।

২৬. মনসবদারি প্রথা কী? মনসবদারদের কী কী কাজ করতে হত?
➺ মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনব্যবস্থায় কিছু প্রশাসনিক পদকে বলা হত মনসব, পদাধিকারীদের বলা হয় মনসবদার এবং এই ব্যবস্থাটিকে বলা হত মনসবদারি প্রথা। মনসবদারদের বেশকিছু কাজ করতে হত যেমন—[1] বাদশাহের জন্য সৈন্য প্রস্তুত রাখা, [2] সৈন্যদের দেখাশোনা করা এবং [3] যুদ্ধের সময় সৈন্য জোগান দেওয়া। [4] মনসবদারদের যুদ্ধের ঘোড়াগুলিকে নিয়ে মাঝে মাঝে রাজধানীতে হাজিরাও দিতে হত।

২৭. মনসবদারি প্রথার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
➺ মনসবদারি প্রথার দুটি বৈশিষ্ট্য হল—[1] মনসবদারি ব্যবস্থা বংশানুক্রমিক ছিল না। মনসবদার পদে নিয়োগ বা অপসারণের ক্ষেত্রে সম্রাটের ইচ্ছাই ছিল শেষ কথা। [2] বিশেষ বিশেষ মনসবদারগণ বিভিন্ন খেতাব লাভ করতেন। যেমন ‘খান-ই-খানান’, ‘খান-ই-জাহান’ প্রভৃতি।

২৮. টীকা লেখো: আকবরের রাজস্ব ব্যবস্থা।
➺ মুঘল সম্রাট আকবর রাজস্বের পরিমাণ ঠিক করার জন্য নতুন করে জমি জরিপ করান, যার নাম জাবতি। তিনি প্রতিটি এলাকার উৎপাদন এবং বাজারে শস্যের দাম ইত্যাদি তথ্য জোগাড় করেন। প্রত্যেক বছরের এবং প্রতিটি এলাকার জন্য তিনি আলাদা আলাদা হিসাব চালু করেন। আগের দশ বছরের তথ্যের ভিত্তিতে চালু হওয়া এই দহসালা ব্যবস্থা প্রবর্তনে তাকে সাহায্য করেন তার রাজস্বমন্ত্রী টোডরমল এবং আরও কয়েকজন কর্মচারী। তাঁর রাজস্বব্যবস্থায় দুঃসময়ে কৃষকদের ঋণদান, রাজস্ব মকুবের ব্যবস্থা ছিল।

২৯. দাক্ষিণাত্য অভিযানের পিছনে ঔরঙ্গজেবের উদ্দেশ্য কী ছিল? তিনি দাক্ষিণাত্যের কোন্ কোন্ রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালান?
➺ ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতির মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ ঘটানো, মারাঠা দমন ও সেখান থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা। তিনি দাক্ষিণাত্যের মারাঠা রাজ্য, বিজাপুর এবং গোলকুণ্ডার বিরুদ্ধে অভিযান চালান। এ ছাড়া তাঞ্জোর ও ত্রিচিনোপল্লি রাজ্যের বিরুদ্ধেও তিনি অভিযান চালিয়েছিলেন।

৩০. ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের কোন জায়গা দুটি মুঘলদের দখলে আসে? 
➺ ঔরাজের চেয়েছিলেন দক্ষিণী রাজ্যগুলিকে জয় করে সেখান থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করতে। তাঁর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকুণ্ডা মুঘলদের দখলে আসে।

৩১.‘দীন-ই-ইলাহি' ধর্ম কে প্রবর্তন করেন? এই ধর্মের মূল আদর্শ কী ছিল?
 অথবা, দীন-ই-ইলাহি কী? 
➺ 'দীন-ই-ইলাহি' ধর্ম প্রবর্তন করেন মুঘল সম্রাট আকবর। এই ধর্মের মূল আদর্শ ছিল সুলহ-ই-কুল অর্থাৎ সকলের প্রতি সহনশীলতা ও সকলের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান।

৩২. আকবর থেকে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত মুঘলদের রাজপুত নীতিতে অনেক মিল ছিল—বিশ্লেষণ করো। 
➺ আকবর রাজপুতদের প্রতি মৈত্রী নীতি গ্রহণ করে তাঁদেরকে মনসবদারি ব্যবস্থায় নিয়ে আসেন। জাহাঙ্গির ও শাহ জাহানও আকবরের এই নীতিকেই অনুসরণ করেন। ঔরঙ্গজেবের আমলে আগের মতোই রাজপুতদের মনসবদারি ব্যবস্থার আওতায় আনা হয় এবং তাদের বেশ উঁচু পদও দেওয়া হয়।

৩৩. ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতির মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কী ছিল?
➺ ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য নীতির মূল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ ঘটানো ও সেখান থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা। তাই ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের মারাঠা শক্তির পতন ঘটাতে এবং বিজাপুর ও গোলকুণ্ডা রাজ্য দুটি দখল করতে উদ্যত হন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)