(Class- VII) History | MCQ Mock Test |
---|---|
১. ইতিহাসের ধারণা | 👁 Click Here |
২. ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক |
👁 Click Here |
৩. ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক |
👁 Click Here |
৪. দিল্লি সুলতানি : তুর্কো-আফগান শাসন | 👁 Click Here |
৫. মুঘল সম্রাজ্য | 👁 Click Here |
৬. নগর, বণিক ও বাণিজ্য | 👁 Click Here |
৭. জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি : সুলতানি ও মুঘল যুগ | 👁 Click Here |
৮. মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট | 👁 Click Here |
৯. আজকের ভারত : সরকার, গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন | 👁 Click Here |
ইতিহাসের ধারণা সপ্তম শ্রেণী প্রশ্ন উত্তর
1. গ্রিক ভাষায় ‘হিন্দু'-এর উচ্চারণ পরিবর্তিত হয়ে ইন্ডিয়া'-তে পরিণত হয় কেন?
Ⓐ গ্রিকরা 'ই'-এর উচ্চারণ পছন্দ করে
Ⓑ গ্রিকরা ‘হ’-এর উচ্চারণ করতে পারে না
Ⓒ গ্রিক আমাদের মাতৃভাষা
Ⓓ গ্রিক ভাষায় ‘হ’-এর বিকল্প 'ই'
Ⓑ গ্রিকরা ‘হ’-এর উচ্চারণ করতে পারে না
Ⓒ গ্রিক আমাদের মাতৃভাষা
Ⓓ গ্রিক ভাষায় ‘হ’-এর বিকল্প 'ই'
2. মুদ্রাকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মনে করা হয় কেন?
Ⓐ মুদ্রাগুলি ইতিহাসের বহু তথ্য বহন করে
Ⓑ মুদ্রাগুলি সোনার হয়
Ⓒ সমস্ত রাজারাই মুদ্রা প্রচলন করেন
Ⓓ মুদ্রাগুলি মাটির নীচ থেকে পাওয়া যায়
Ⓑ মুদ্রাগুলি সোনার হয়
Ⓒ সমস্ত রাজারাই মুদ্রা প্রচলন করেন
Ⓓ মুদ্রাগুলি মাটির নীচ থেকে পাওয়া যায়
3. ইতিহাসে লেখা থাকে—
Ⓐ রাজাদের কাহিনি
Ⓑ মানবসভ্যতার উন্নয়নের ঘটনাবলি
Ⓒ সাধারণ মানুষের কথা
Ⓓ উপরের সবগুলি
Ⓑ মানবসভ্যতার উন্নয়নের ঘটনাবলি
Ⓒ সাধারণ মানুষের কথা
Ⓓ উপরের সবগুলি
4. হেরোডোটাস ছিলেন?
Ⓐ ইতালীয় ঐতিহাসিক
Ⓑ ভারতীয় ঐতিহাসিক
Ⓒ গ্রিক ঐতিহাসিক
Ⓓ চৈনিক ঐতিহাসিক
Ⓑ ভারতীয় ঐতিহাসিক
Ⓒ গ্রিক ঐতিহাসিক
Ⓓ চৈনিক ঐতিহাসিক
5. ‘আকবরনামা’ গ্রন্থ থেকে কোন যুগের ইতিহাস জানা যায়?
Ⓐ প্রাচীন যুগের
Ⓑ মধ্যযুগের
Ⓒ আধুনিক যুগের
Ⓓ বর্তমান যুগের
Ⓑ মধ্যযুগের
Ⓒ আধুনিক যুগের
Ⓓ বর্তমান যুগের
6. রাজা রাজেন্দ্র চোল ‘গঙ্গোইকোণ্ডচোল' উপাধি নিয়েছিলেন কারণ তিনি—
Ⓐ পরাক্রমশালী ছিলেন
Ⓑ গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চল জয় করেছিলেন
Ⓒ গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চল উর্বর ছিল
Ⓓ বিশ্ববিজেতা ছিলেন
Ⓑ গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চল জয় করেছিলেন
Ⓒ গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চল উর্বর ছিল
Ⓓ বিশ্ববিজেতা ছিলেন
7. ইতিহাসকে আকর্ষণীয় করে তোলার একটি পদ্ধতি হল?
Ⓐ শুধুমাত্র শোনা
Ⓑ প্রতিদিন পড়া
Ⓒ শুধুমাত্র মুখস্থ করে ফেলা
Ⓓ মজার ছলে সাল, রাজার নাম মনে রাখা
Ⓑ প্রতিদিন পড়া
Ⓒ শুধুমাত্র মুখস্থ করে ফেলা
Ⓓ মজার ছলে সাল, রাজার নাম মনে রাখা
8. আদি-মধ্যযুগ হল?
Ⓐ মধ্যযুগের শুরু
Ⓑ মধ্যযুগের শেষ
Ⓒ প্রাচীন যুগের শেষ ও মধ্যযুগের শুরু
Ⓓ আধুনিক যুগের শুরু
Ⓑ মধ্যযুগের শেষ
Ⓒ প্রাচীন যুগের শেষ ও মধ্যযুগের শুরু
Ⓓ আধুনিক যুগের শুরু
9. একজন ভক্তিবাদী সাধক হলেন?
Ⓐ মইনুদ্দিন চিশতি
Ⓑ সেলিম চিশতি
Ⓒ শ্রীচৈতন্য
Ⓓ নানক
Ⓑ সেলিম চিশতি
Ⓒ শ্রীচৈতন্য
Ⓓ নানক
10. ‘গঙ্গোইকোণ্ডচোল' কার উপাধি ছিল?
➛ চোল রাজা রাজেন্দ্র চোলের।
11. 'সকলোত্তরপথনাথ' কাকে বলা হয়?
➛ হর্ষবর্ধনকে।
12. ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে?
➛ যে সমস্ত প্রামাণ্য তথ্য থেকে ইতিহাস রচনা করা হয়।
13. পাথরের উপর লেখা প্রাচীন চিত্রের লিপিকে কী বলা হয়?
➛ শিলালেখ বা শিলালিপি।
14. কে সর্বপ্রথম ইন্ডিয়া নামটি ব্যবহার করেছিলেন?
➛ গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস।
15. প্রাচীনকালে ইন্ডিয়া আর কী নামে পরিচিত ছিল?
➛ হিন্দুস্থান / জম্বুদ্বীপ।
16. আদি-মধ্যযুগ কাকে বলে?
➛ প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগের মধ্যবর্তী সময়কে।
17. ইতিহাসকে সাধারণভাবে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
➛ তিন ভাগে, যথা— (i) প্রাচীন যুগ (ii) মধ্যযুগ এবং (iii) আধুনিক যুগ।
18. তাজমহল কে নির্মাণ করিয়েছিলেন?
➛ শাজাহান।
19. সিন্ধুনদের দ্বীপ এলাকাকে কী বলা হত?
➛ হিদুষ।
20. তামার পাতের উপর লেখকে কী বলে?
➛ তাম্ৰলেখ।
21. ইতিহাসের গোয়েন্দা কাকে বলে?
➛ ঐতিহাসিকদের।
22. বখতিয়ার খলজি কে ছিলেন?
➛ বাংলাদেশ আক্রমণকারী।
23. ইতিহাসের জনক কাকে বলা হয়?
➛ হেরোডোটাসকে।
24. কারা সিন্ধু অঞ্চলকে ‘হিদুষ’ বলত?
➛ ইরানিরা।
25. আমাদের ভাষার 'স'-কে গ্রিকরা কী উচ্চারণ করত?
➛ 'হ'।
26. কাদের কাছ থেকে আমরা আলু খাওয়া শিখেছি?
➛ পোর্তুগিজদের কাছ থেকে।
27. মোগল যুগে পরদেশি কাকে বলা হত?
➛ অচেনা বা অন্য গ্রামের লোককে।
28. একটি প্রাচীন লিপির নাম লেখো।
➛ এলাহাবাদ প্রশস্তি।
29. ভারতের একটি প্রাচীন স্থাপত্যের উদাহরণ দাও।
➛ অজন্তা-ইলোরার গুহাচিত্র।
30. ভারতের উত্তরে কী আছে?
➛ হিমালয় পর্বত।
Question Mark-2/3
১. ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে?এর শ্রেণিবিভাগ করো।
❐ ইতিহাস রচনা করার জন্য কিছু বিষয়ের সাহায্য নিতে হয়। যে সমস্ত প্রামাণ্য তথ্য থেকে ইতিহাস রচনা করা হয়, তাদের ইতিহাসের উপাদান বলে। ইতিহাসের উপাদানগুলিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়, যথা- ① সাহিত্যিক উপাদান ② প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। সাহিত্যিক উপাদানকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়। (i) দেশীয় সাহিত্য এবং (ii) বৈদেশিক সাহিত্য। আবার প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানকে তিনভাগে ভাগ করা যায়—(i) লিপি (ii) মুদ্রা এবং (iii) স্থাপত্য-ভাস্কর্য।
২. তহকক-ই-হিন্দ' কী?
❐ ‘তহকক-ই-হিন্দ’ভারতের মধ্যযুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য উপাদান। গ্রন্থটির রচয়িতা আল-বিরুনি। তৎকালীন ভারতবর্ষের সমাজ, অর্থনীতি, ধর্ম প্রভৃতি বিষয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
৩. সকলোত্তরপথনাথ' কাকে, বলা হয়?
❐ হর্ষবর্ধনকে ‘সকলোত্তরপথনাথ' বলা হয়। তিনি প্রায় সমগ্র উত্তর ভারত তাঁর পদানত করেছিলেন। উত্তর ভারতের সার্বভৌম নরপতি হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করার জন্য তিনি এই উপাধি নিয়েছিলেন।
৪. 'গঙ্গাইকোণ্ডচোল' কাকে বলা হয় এবং কেন?
❐ চোল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক রাজা রাজেন্দ্র চোলকে ‘গঙ্গাইকোণ্ডচোল' বলা হয়। রাজা রাজেন্দ্র চোল গঙ্গার অববাহিকা অঞ্চল বা বাংলা জয় করেন। গঙ্গা বিজেতা হিসেবে তিনি এই উপাধি নিয়েছিলেন।
৫. স্থাপত্য-ভাস্কর্য বলতে কী বোঝো?
❐ স্থাপত্য কথাটি স্থাপন থেকে এসেছে। প্রাচীনকালে শাসকেরা বিভিন্ন মন্দির, অট্টালিকা স্থাপন করেছিলেন। এইসব স্থাপত্যকর্মে শিল্পের ছোঁয়া থাকত। পাথর দিয়ে বা সিমেন্ট -বালি দিয়ে বহু মূর্তি বা সৌন্দর্যচর্চা করা হত। একেই স্থাপত্য-ভাস্কর্য বলে। যেমন—তাজমহল।
৬. ইন্ডিয়া' নামটির উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে?
❐ ইতিহাসের জনক গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস সর্বপ্রথম 'ইন্ডিয়া' নামটি ব্যবহার করেন। সিন্ধুর বদ্বীপ এলাকা পারসিক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। পারসিক ভাষায় ‘স’-এর উচ্চারণ ‘হ’-এর মতো হওয়ায় তারা সিন্ধুকে ‘হিন্দু” বা ‘হিদুষ’ উচ্চারণ করত। ইরানি ভাষায় ‘হ’-এর উচ্চারণ না থাকায় ‘হিন্দু থেকে ‘ইন্ডিয়া’ নামের উৎপত্তি হয়।
৭. ভারতের মধ্যযুগ কি 'অন্ধকারময় যুগ' ছিল?
❐ অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মধ্যযুগের ভারতে মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, শিক্ষা সব কিছু থমকে দাঁড়িয়েছিল। কোনো ব্যাপারেই কোনো উন্নতি হয়নি। তাই মধ্যযুগকে ‘অন্ধকারময় যুগ' বলে। কিন্তু এই সময় জ্ঞানের চর্চা পুরোপুরি থেমে যায়নি। বহু বিষয়ে অনেক উন্নতি হয়েছিল। তাই অনেকে একে অন্ধকারময় যুগ বলতে রাজি নন।
Question Mark-5
১. ইতিহাসের বিষয়বস্তু আলোচনা করো।
❐ ইতিহাস অতীতের ঘটনাবলির একপ্রকার ধারাবিবরণী। এর মধ্যে সমস্ত প্রকার বিষয়ই রয়েছে। সেদিক থেকে আমাদের পাঠ্যবিষয়ের প্রায় সব ক-টি বিষয়ই হল ইতিহাস। কিন্তু ইতিহাস বলতে সাধারণত মানবসভ্যতার উন্নয়নের ধারাবাহিক ইতিহাসকে ধরা হয়। নীচে ইতিহাসের বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল— ① রাজা-মহারাজাদের কাহিনি : ইতিহাসের একটি বড়ো অংশ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন রাজা-মহারাজাদের রাজত্বকালের কাহিনি। ② যুদ্ধের বিবরণঃ রাজনৈতিক ইতিহাসের অনেকটা অংশ জুড়ে থাকে যুদ্ধের কারণ ও ফলাফলের বিবরণী। ③ সমাজ ও অর্থনীতি : আধুনিক ইতিহাস চর্চায় সমাজ ও সংস্কৃতির ইতিহাসের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নানা ঘটনাবলি আজ ইতিহাসের
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। ④ সাধারণ মানুষের জীবনযাপন প্রণালী : ইতিহাস মানবসভ্যতার উন্নয়নের বিবরণী। তাই আজ ইতিহাসে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক কার্যাবলিকে ও বিষয়বস্তু হিসেবে ধরা হয়েছে। নিম্নবর্গীয় মানুষদের ইতিহাস চর্চা আজ বেশ জনপ্রিয়।
❐ উপসংহার : ইতিহাসের বিষয়বস্তু অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। অল্প পরিসরে তার আলোচনা বেশ কষ্টকর। মানব জাতির উন্নয়ন, তার ভুলত্রুটি, ভবিষ্যতের কর্মপন্থা বিশ্লেষণ ইত্যাদি ইতিহাসের বিষয়বস্তু। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে কালানুক্রম অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজন।
২. প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব আলোচনা করো।
❐ প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির মধ্যে গুরুত্বের দিক থেকে লিপির পরেই মুদ্রার স্থান। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর 'অ্যানসিয়েন্ট ইন্ডিয়া' গ্রন্থে বলেছেন—মুদ্রা রাজাদের নাম ও সংশ্লিষ্ট এলাকার শাসনকাল সম্বন্ধে জানতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
𒀭 গুরুত্ব : প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে মুদ্রার গুরুত্বগুলি হল—
① মুদ্রার প্রাপ্তিস্থান থেকে রাজার রাজ্যসীমার পরিচয় জানা যায়।
② কোনো শাসকের মুদ্রা অন্য কোনো দেশে পাওয়া গেলে ওই দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল বলে ধরা হয়।
③ মাটির তলায় প্রাপ্ত মুদ্রার গভীরতা থেকে সময়ক্রম নির্ধারণ করা হয়।
④ মুদ্রায় ব্যবহৃত ধাতু ও ধাতুর পরিমাপ দেখে রাজ্যের আর্থিক সমৃদ্ধি জানা যায়।
⑤ মুদ্রার ধাতু থেকে ধাতুবিজ্ঞানের কথা জানা যায়।
⑥ মুদ্রা থেকে রাজার নাম ও বংশ জানা যায়।
⑦ মুদ্রায় অঙ্কিত দেবদেবীর মূর্তি থেকে কোন্ রাজা কোন্ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তা জানা যায়।
⑧ মুদ্রায় অঙ্কিত ছবি থেকে রাজার বিশেষ গুণাবলির কথা জানা যায়। যেমন—সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রায় তাঁর বীণাবাদনরত মূর্তি দেখে তাঁর সংগীতপ্রিয়তার কথা জানা যায়।
❐ উপসংহার : মুদ্রা থেকে প্রাপ্ত ঐতিহাসিক তথ্য গ্রহণযোগ্যতার বিচারে গুরুত্বপূর্ণ। মুদ্রা হল ইতিহাসের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। প্রাচীন মুদ্রাগুলি থেকে ইতিহাসের অনেক জানা-অজানা তথ্য পাওয়া যায়। যেমন—গুপ্ত শাসক সমুদ্রগুপ্ত যোদ্ধা এবং সুশাসক হিসেবে খ্যাত ছিলেন এ কথা সকলেরই জানা। সাহিত্যিক উপাদানগুলি অনেক সময় ভুল বা অতিরঞ্জন দোষে দুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু মুদ্রায় তা না হওয়ায় এর তথ্য ব্যবহারযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।
৩. ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে? ইতিহাসের উপাদান হিসেবে লিপির গুরুত্ব আলোচনা করো।
𒀭 ইতিহাসের উপাদান : যে সমস্ত প্রামাণ্য তথ্য সহযোগে ইতিহাস রচনা করা হয়, যেমন—লিপি, মুদ্রা, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, স্মৃতিস্তম্ভ প্রভৃতিকে একত্রে ইতিহাসের উপাদান বলে। সাধারণভাবে ইতিহাসের উপাদান দুই প্রকার— ① সাহিত্যিক উপাদান ② প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলিকে আবার তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা—① লিপি, ② মুদ্রা এবং ③ প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ।
𒀭 লিপি : লিপিকে ইতিহাসের জীবন্ত দলিল বলা হয়। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রেও লিপির গুরুত্ব সমধিক। লিপিকে আবার তিনভাগে ভাগ করা যায়। (i) সরকারি লিপি, (ii) বেসরকারি লিপি এবং (iii) ভারতের বাইরে আবিষ্কৃত লিপি।
𒀭 লিপির গুরুত্ব : লিপি থেকে নিম্নোক্ত বিষয় সম্পর্কে জানা যায়— ① রাজার বংশপরিচয় : লিপি থেকে রাজার নাম, বংশ, শাসনকাল ইত্যাদি সম্বন্ধে জানা যায়। যেমন—এলাহাবাদ প্রশস্তি। ② ভাষার বিবর্তন : লিপির ভাষা থেকে প্রচলিত ভাষা এবং ভাষার বিবর্তন সম্বন্ধে জানা যায়। যেমন—অশোকের শিলালিপি। ③ ভূমিদান সম্পর্কিত তথ্য : ভূমিদান সম্পর্কিত লিপি থেকে সংশ্লিষ্ট সময়ের ভূমিদান ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা যায় । ④ শাসনব্যবস্থার বিবরণ : লিপি থেকে তৎকালীন শাসনব্যবস্থা, সমাজব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়। যেমন— নাসিক প্রশস্তি। ⑤ ধাতুবিজ্ঞান : মুদ্রায় ব্যবহৃত ধাতুর ওপর খোদিত লিপি থেকে ধাতুবিজ্ঞান সম্বন্ধে জানা যায়। ⑥ বাণিজ্যের বিবরণ : লিপির প্রাপ্তিস্থান থেকে রাজ্যসীমা, অন্তর্বাণিজ্য ও বহির্বাণিজ্য সম্পর্কে জানা যায় ৷
❐ উপসংহার : লিপির গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ মন্তব্য করেছেন—“Inscription...... the most important and trustworthy source of our knowledge."