Pratigyasadhanam Short Question And Answer Class 11 Second Semester | প্রতিজ্ঞাসাধনম্ একাদশ শ্রেণী সংস্কৃত দ্বিতীয় সেমিস্টার | Protigyasadhonom Class 11 Sanskrit
গদ্যাংশটিতে শিবাজির ষোলো বছর বয়সি এক চরের কাজ সম্পূর্ণ করার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই চরটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় একটুও বিচলিত না হয়ে, বিরতি না নিয়ে পাহাড়ি উঁচু-নীচু পথে ঘোড়ার পিঠে চড়ে, সমস্ত দুর্যোগ উপেক্ষা করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে লক্ষ্যপূরণের তাগিদে। তার প্রতিজ্ঞা সে সঠিক সময়ে তার প্রভুর চিঠি সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে পৌঁছে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করবে অথবা নিজ প্রাণ ত্যাগ করবে।
❏ জন্ম পরিচয় : সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে রাজস্থানের জয়পুর জেলার অন্তর্গত ‘রাবতজী ধূলা’ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অম্বিকাদত্তব্যাসের পিতামহ ছিলেন পরাশর গোত্রীয়, যজুর্বেদীয় এবং ভীড়া বংশীয় পণ্ডিতপ্রবর রাজারাম, যিনি জ্যোতিষশাস্ত্রে নিপুণ ছিলেন। রাজারামজীর দুই পুত্র ছিল – দুর্গাদত্ত এবং দেবীদত্ত। পণ্ডিত দুর্গাদত্ত হলেন অম্বিকাদত্তব্যাসের পিতা।অম্বিকাদত্তব্যাস জয়পুরে জন্মগ্রহণ করলেও, তিনি কাশীধামে অধ্যয়ন করেন এবং বিহারের ভাগলপুর, মধুবনী, পাটনা প্রভৃতি স্থানে শিক্ষকতা করেন। অম্বিকাদত্তব্যাস বাল্যকাল থেকে খুবই প্রতিভাবান ছিলেন। তিনি ২৪ মিনিটে ১০০টি শ্লোক রচনা করতে পারতেন। তাঁর সাহিত্যকৃতির জন্য তিনি নানা উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন, সেগুলি হল— ব্যাস, সাহিত্যাচার্য, ঘটিকাশতক, সুকবি, বিহারভূষণ, ভারতভূষণ, শতাবধান, ভারতরত্ন প্রভৃতি।
❏ সাহিত্যকর্ম : তিনি সংস্কৃত-সহ হিন্দি ভাষাতে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। এর মধ্যে সংস্কৃত ভাষায় ছোটো-বড়ো ২৭টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলি হল— (১) গণেশশতকম্ (২) কথাকুসুমম্ (৩) সাংখ্যসাগরসুধা (৪) সংস্কৃতাভ্যাসপুস্তকম্ (৫) পাতঞ্জলপ্রতিবিম্বম্ (৬) প্রাকৃতপ্রবেশিকা (৭) সামবতনাটকম্ (৮) প্রাকৃতগূঢ়শব্দকোষ (৯) রেখাগণিতম্ (১০) রত্নপুরাণম্ (১১) অনুষ্টু লক্ষণোদ্ধারঃ (১২) শিবরাজবিজয়ম্ (১৩) গুপ্তাশুদ্ধিপ্রদর্শনম্ (১৪) বালব্যাকরণম্ (১৫) সমস্যাপূৰ্ত্তিসর্বস্বম্ (১৬) সহস্রনামরামায়ণম্ (১৭) দ্রব্যস্তোত্রম্ (১৮) গদ্যকাব্যমীমাংসা (১৯) দুঃখদুমকুঠারঃ (২০) কুণ্ডলীদর্পণম্ (২১) আর্যভাষাসূত্রকারঃ (২২) ইতিহাসসংক্ষেপঃ (২৩) ধর্মাধর্মকলকলম্ (২৪) পুষ্পোপহারঃ (২৫) অবতারমীমাংসা-কারিকা (২৬) রত্নাষ্টকম্ (২৭) মিত্ৰালাপঃ।
এছাড়া তাঁর হিন্দি ভাষায় রচিত কিছু গ্রন্থ হল ললিতা নাটিকা, মন কী উমংগ, পুষ্পবর্ষা, স্বর্গসভা, ক্ষেত্রকৌশল, গোসঙ্কট, পাবস পচাস, গদ্যকাব্যমীমাংসা, চতুরঙ্গ চাতুরী, আশ্চর্যবৃত্তান্ত প্রভৃতি। পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস তাঁর বিখ্যাত হিন্দি সাহিত্য ‘বিহারী বিহার'-এর শেষে নিজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখে গিয়েছেন। সাহিত্যাচার্য অম্বিকাদত্তব্যাস ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে কাশীধামে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন।
পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’ নামক ঐতিহাসিক উপন্যাসটি তিনটি বিরামে বিভক্ত। প্রত্যেকটি বিরামে আবার চারটি করে নিঃশ্বাস রয়েছে। আমাদের আলোচ্য ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ নামাঙ্কিত পাঠ্যাংশটি ‘শিবরাজবিজয়ম্’-এর প্রথম বিরামের চতুর্থ নিঃশ্বাস থেকে গৃহীত হয়েছে।
পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’নামক গ্রন্থের অংশবিশেষ হল ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’শীৰ্ষক গদ্যাংশ। সাহসী, বিশ্বস্ত, পরিশ্রমী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যক্তির সংকল্পিত লক্ষ্য অর্জনে শারীরিক বা প্রাকৃতিক কোনো বাধাই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে না। তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সে জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে। আলোচ্য গদ্যাংশে কর্তব্যপরায়ণতার এই আদর্শই পাঠকসমক্ষে উদ্ভাসিত হয়েছে।
❏ প্রাকৃতিক পরিবেশ : পাঠ্যাংশে আষাঢ় মাসের এক সন্ধ্যার বর্ণনা করা হয়েছে। এই সময় ভগবান সূর্য সিঁদুরগোলা জলে অবগাহনের মতো রক্তিম বর্ণধারী আকাশের পশ্চিম দিক থেকে মেঘের মধ্যে প্রবেশ করছেন। চড়ুইপাখিরা তাদের বাসায় ফিরে আসছে। এমন সময় হঠাৎ আকাশে মেঘ দেখা দেয়। ক্রমশ মেঘ ভয়ংকর আকার ধারণ করে ঘনকালো অন্ধকারে সমস্ত আকাশ ঢেকে ফেলে।
❏ গুপ্তচরের বর্ণনা : এই সময় শিবাজির আস্থাভাজন ও যথাযোগ্য বার্তাবাহক গুপ্তচর ঘোড়ায় চড়ে তাঁরই (শিবাজির) একটি পত্র নিয়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গের দিকে যাচ্ছেন। গুপ্তচরটি হল ষোলো (১৬) বছর বয়সি এক যুবক। তার গায়ের রং ফরসা, সুগঠিত-দৃঢ় দেহ, ঘনকালো কোঁচকানো কেশগুচ্ছে সজ্জিত কপাল, মনোহর গণ্ডদেশ। দূর থেকে আসার ফলে ক্লান্ত যুবকটির মুখে ঘাম উৎপন্ন হয়েছে, যা ছোটো ছোটো মুক্তোর ন্যায় শোভা পাচ্ছে। রুপোর সুতোয় বোনা সবুজ পাগড়ি আর সবুজ রঙের বর্মে যুবকটি গুপ্তচর হওয়ার কথা জানিয়ে প্রসন্ন মুখে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে তার নিজ কর্তব্যপালন করতে এগিয়ে চলেছেন।
❏ নামকরণের নীতি : নামই হল পরিচয়। সেটি ব্যক্তি কিংবা সাহিত্য উভয়ের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। এই নামকরণ বিভিন্ন দিক থেকে হতে পারে— (১) বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে, (২) কখনও প্রধান চরিত্রকে কেন্দ্র করে, (৩) আবার কখনও ব্যঞ্জনাধর্মী নামকরণও দেখা যায়।
❏ কাহিনি বিশ্লেষণ : ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্ -এর ‘প্রতিজ্ঞা' অর্থাৎ শপথ বা অঙ্গীকার এবং 'সাধন' হল সাধনা বা সম্পাদন বা সিদ্ধি বা কার্যসাধন। গদ্যাংশটিতে পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাসের লেখনীতে কেন্দ্রীয় চরিত্র হল শিবীরের এক বিশ্বাসভাজন দূত (মূল গ্রন্থে রঘুবীর সিংহ) যার অদম্য সাহস-চেষ্টা-উদ্যম-কর্তব্যপরায়ণতা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে হার মানিয়েছে। তিনি ছিলেন একাধারে যোদ্ধা এবং বীরের মূর্ত প্রতীক। ষোলো বছর বয়সি এই গুপ্তচরটি (শিবাজির-ই) চিঠি নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গের দিকে যাচ্ছেন। হঠাৎই শুরু হয় বৃষ্টি-সহ ঝোড়ো বাতাস। চতুর্দিক অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। চারিদিকে শুধুই পর্বতশ্রেণি, বন, জলপ্রপাত, মালভূমি ও উপত্যকা। কোনো সমতল রাস্তা নেই। অন্ধকারে পথও দেখা যায় না। ঘোড়ার খুর মসৃণ পাথরে বারবার পিছলে যাচ্ছিল। তা সত্ত্বেও যুবকটি নিজ লক্ষ্যপূরণে অবিচল থেকেছেন।
❏ সার্থকতা : ভারতীয় সংস্কৃতি ও সনাতন আদর্শের প্রতিনিধিস্বরূপ শিবাজির আস্থাভাজন দূত তথা রঘুবীর সিংহ, যিনি নানান প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে যেমন সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি তার উপর অর্পিত দায়িত্বপালনের মর্যাদাও রেখেছেন। দুর্গম পার্বত্য বনভূমি, ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ প্রকৃতি কোনো কিছুই তার গতিরুদ্ধ করতে পারেনি। ‘দেহং বা পাতয়েয়ম্ কার্যং বা সাধয়েয়ম্’-এই শপথবাক্যের মাধ্যম তিনি তার কার্যসাধনের কঠোর ইচ্ছাকে প্রতিপাদন করেছেন। আলোচ্য গদ্যাংশের মাধ্যমে লেখক যে বার্তা দিতে চেয়েছেন, তা হল একনিষ্ঠ ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে কঠোর শ্রমে কার্যসাধন। ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ এই শিরোনামের মাধ্যমে কাহিনির মর্মবাণী সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তাই ‘প্রতিজ্ঞার দ্বারা কার্যসাধন' অর্থাৎ ‘প্রতিজ্ঞাসাধন’ এরূপ বিষয়কেন্দ্রিক নামকরণটি যথার্থ ও সার্থক।
| গদ্য | |
|---|---|
| প্রতিজ্ঞাসাধনম্ (অম্বিকাদত্তব্যাস) | Click Here |
| পদ্য | |
| ঋতুচর্যা (মহর্ষি চরক) | Click Here |
| দৃশ্যকাব্য | |
| দানবীরঃ কর্ণঃ – (মহাকবি ভাস) | Click Here |
| ব্যাকরণ | |
| সন্ধি | Click Here |
| শব্দরূপ | Click Here |
| প্রত্যয় | Click Here |
| ধাতুরূপ | Click Here |
| সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস | |
| বৈদিক সাহিত্য | Click Here |
| বৈয়াসিক-মহাভারত | Click Here |
| সংস্কৃত গীতিকাব্য | Click Here |
PRATIGYASADHANAM VERY IMPORTANT SAQ QUESTION AND ANSWER | CLASS XI 2ND SEMESTER NEW SYLLABUS
প্রতিজ্ঞাসাধনম্ (অম্বিকাদত্তব্যাস) SAQ প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণী দ্বিতীয় সেমিস্টার
১. প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ানকতায় যুবকটি ভয় পাননি কেন?
(प्राकृतिकर्योगस्य भयानकताया: कारणात्यू वक: किम न भीतरभवत्?)
▸ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ানকতায় শিববীরের বিশ্বাসভাজন যুবকটি ভীত হননি। কারণ, তিনি ছিলেন তার প্রভুর অনুগত একজন দেশপ্রেমিক। যিনি নিজের জীবনের থেকে কর্তব্যকর্মকেই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করতেন।
২. 'কৃতপ্রতিজ্ঞোহসৌ—উদ্ধৃতাংশে 'অসৌ' পদের দ্বারা লেখক কাকে বুঝিয়েছেন? তার প্রতিজ্ঞাটি কী ছিল?
('कृনप्रतिज्ञोऽसी'-उद्धृतांशे 'असौ' पदेन लेखकः कं बोधयति? तस्य प्रतिज्ञा का आसीत्?)
▸ উদ্ধৃতাংশে ‘অসৌ’ পদের দ্বারা লেখক শিববীরচরকে বুঝিয়েছেন। আমি আমার দেহ বিসর্জন দেব অথবা কার্য সম্পাদন করব শিববীর অনুচরের এইরূপ প্রতিজ্ঞা ছিল।
৩. ‘শিবরাজবিজয়ম' গ্রন্থটি কয়টি ভাগে নিবদয় হয়েছে? এই গ্রন্থের মঙ্গলাচরণে কোন দেবতার মহিমা গীত হয়েছে?
('शिवराजविजयम्' कति भागेषु निबद्ध: ? अस्य ग्रन्थस्य मलाचरणे कय देवस्य महिमा गीयন?)
▸ ‘শিবরাজবিজয়ম্' গ্রন্থটি তিনটি বিরামে ও দ্বাদশ নিঃশ্বাসে নিবদ্ধ হয়েছে। এই গ্রন্থের মঙ্গলাচরণে ভগবান বিষ্ণুর মহিমা গীত হয়েছে।
৪. কবি অম্বিকাদত্ত ব্যাস কতগুলি উপনামে ভূষিত ছিলেন?
(कवि: अम्बिकादत्तव्यासः कतिभिः उपनामभिः अलङ्कृतः आसीत्?)
▸ কবি অম্বিকাদত্তব্যাস অনেক উপনামে ভূষিত ছিলেন। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটিকাশতক, বিহারভূষণ, ভারতভূষণ, শতাবধান, অভিনববাণ এবং ব্যাস।
৫. চড়ুইপাখিরা কখন বাসায় ফিরছিল?
(कलविङ्का: कदा नोड प्रतिनिवर्तते स्म?)
▸ আষাঢ় মাসের সন্ধ্যার সময় যখন ভগবান সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাচ্ছে, তখন চড়ুইরা তাদের বাচ্চাদের কিচিরমিচিরপূর্ণ বাসায় ফিরে আসছিল।
৬. পাঠ্যাংশে 'রতৈঃ' পদের দ্বারা কাদের উল্লেখ করা হয়েছে? এই পদটির একটি সংস্কৃত প্রতিশব্দ লেখো।
▸ পাঠ্যাংশে ‘রুতৈঃ’ পদের দ্বারা চটকশাবকদের উল্লেখ করা হয়েছে। এই ‘রুতৈঃ’ পদের সংস্কৃত প্রতিশব্দ হল শব্দৈঃ।
৭.মেঘরাশি কীভাবে শোভা পেত?
(मेघमाला कथं शोभते?)
▸ মেঘরাশি লম্বা শুঁড়যুক্ত গজ-হস্তীদের মতো শোভা পেত, যা দেখতে ছিল ভয়ংকর।
৮. 'প্রতিজ্ঞাসাধনম্ কাহিনিতে কার কোথায় যাত্রার কথা বর্ণিত হয়েছে?
▸ ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ কাহিনিতে শিববীরের এক বিশ্বাসী চরের সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গের প্রতি যাত্রাপথের ঘটনার কথা বর্ণিত হয়েছে।
৯.'কোঽপি শিববীরস্য বিশ্বাসপাত্রম–কে ছিলেন শিববীর এবং কে তাঁর বিশ্বাসপাত্র?
▸ শিববীর হলেন ‘শিবরাজবিজয়ম্’ গদ্যকাব্যের নায়ক। যাঁর নাম ছত্রপতি শিবাজি (মারাঠা কেশরী)। শিববীরের একজন নিষ্ঠাবান গুপ্তচর হলেন আমাদের পাঠ্যাংশে উল্লিখিত ‘বিশ্বাসপাত্র’। ‘শিবরাজবিজয়ম্’ মূলগ্রন্থে তার নাম রঘুবীর সিংহ।
১০. প্রতিজ্ঞাসাধনম্ গদ্যাংশে উল্লিখিত যুবকটির গমনমার্গের বর্ণনা করো।
▸ ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্' গদ্যাংশে উল্লিখিত যুবকটির যাত্রাপথ সরল ছিল না। চারিদিকে পর্বতশ্রেণির পর পর্বতশ্রেণি, বনের পর বন, চূড়ার পর চূড়া, জলপ্রপাতের পর জলপ্রপাত, মালভূমির পর মালভূমি, উপত্যকার পর উপত্যকা ছিল। কষ্টকর দুর্গম পথ, রাস্তাও ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না। বৃক্ষশাখায় জর্জরিত পথে প্রতিমুহূর্তে ঘোড়ার খুর চকচকে পাথরের খণ্ডে পিছলে যাচ্ছিল।
১১. ‘পাষাণখণ্ডেষু প্রস্থ লন্তি—কী পিছলে যাচ্ছে? ‘পাষাণ শব্দের সংস্কৃত প্রতিশব্দ লিখে পিছলে যাওয়ার কারণ বর্ণনা করো।
▸ ঘোড়ার খুর মসৃণ পাথরে পিছলে যাচ্ছে। ‘পাষাণ’ শব্দের সংস্কৃত প্রতিশব্দ হল প্রস্তরঃ। শিবাজির বিশ্বাসভাজন যুবক যখন তাঁর পত্র নিয়ে ঘোড়ার পিঠে চেপে পর্বতশ্রেণির উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আষাঢ় মাসের সন্ধ্যাবেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে মসৃণ পাথরে ঘোড়ার খুর পিছলে যাচ্ছিল।
১২. 'স-হুড়হুড়াশব্দং'—হুড়হুড়া শব্দের দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? কীভাবে এই শব্দের উৎপত্তি হল?
('स-हडहडाशब्दः' – 'हडहडा' इति शब्दन कान बुध्यन्ते ? कथम् अयं शब्द: प्रभवति स्म?)
▸ ‘হড়হড়া' শব্দের দ্বারা কম্পমান গাছেদের শব্দকে বোঝানো হয়েছে। যখন শিবাজির বিশ্বাসভাজন যুবক তাঁর পত্র নিয়ে ঘোড়ার পিঠে চেপে পর্বতশৃঙ্গের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় এবং অত্যন্ত বেগে বাতাস বইতে থাকে। এর ফলে কাঁপতে থাকা গাছেদের থেকে হড়হড়া শব্দের উৎপত্তি হয়।
১৩. ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্—গল্পানুসারে বন্যপ্রাণীদের কান্নার কারণ নির্ণয় করো।
▸ আষাঢ় মাসের সন্ধ্যার সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন—ঝড়বৃষ্টি, মেঘমালাদের দ্বারা সৃষ্ট মহাঅন্ধকার, গাছেদের কম্পনের হড়হড়া শব্দ—এইসব কারণের জন্য মহান্ধকারাচ্ছন্ন বন্যপ্রাণীরা কেঁদে উঠেছিল।
CLASS 11 SANSKRIT PROSE PRATIJNASADHANAM | CLASS 11 2ND SEMESTER SANSKRIT (Bengali Version)
Sanskrit Class 11 2nd Semester Unit-1 (Mark-5) Notes in Bengali | একাদশশ্রেণি সংস্কৃত প্রতিজ্ঞাসাধনম্ মার্ক - ৫ নোটস 👇
Q1. 'पतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশটির কাহিনি উল্লেখ করে গুপ্তচরের প্রধান সংকল্পটি দেবনাগরী লিপিতে লেখো? (Mark : 4+1=5)
❏ ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্' পাঠ্যাংশটি আধুনিক সংস্কৃত সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’ নামক গদ্যকাব্যের অন্তর্ভুক্ত। হঠাৎ শুরু হয় বৃষ্টি-সহ ঝোড়ো বাতাস। ফলে ঝোড়ো বাতাসে ওঠা ধুলো, ঝরে যাওয়া পাতা, শুকনো ফুলে চতুর্দিকের অন্ধকার দ্বিগুণ হয়ে যায়। চারিদিকে শুধুই পর্বতশ্রেণি, বন, জলপ্রপাত, মালভূমি আর উপত্যকা, কোনো সমতলভূমি নেই। ঘন অন্ধকারে পথও দেখা যাচ্ছিল না। ঘোড়ার খুর বারবার মসৃণ পাথরে পিছলে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণীদের ভয়ংকর চিৎকারে সমস্ত আকাশ ব্যাপ্ত হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিপদে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েও তিনি নিজকর্তব্য পালনে অটল থেকে স্থির চিত্তে লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হয়েছেন। প্রতিজ্ঞা করেছেন –‘দেহং বা পাতয়েয়ং কার্যং বা সাধয়েয়ম্'। এইরকম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, কর্তব্যনিষ্ঠ ও অনুগত এক গুপ্তচরের নিরলস কর্মপালনের বর্ণনায় রচনাংশটি মনোগ্রাহী হয়ে উঠেছে।
❏ সংকল্প : 'প্রতিজ্ঞাসাধনম্ পাঠ্যাংশে গুপ্তচরটির প্রধান সংকল্পটি হল— 'कार्य वा साधयेयम्, देहं वा पातयेयम् ।
Q2. 'पतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশ অবলম্বনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বর্ণনা দাও।
অথবা, 'प्रतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশের প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও।
অথবা, 'प्रतिज्ञासाधनम्' অবলম্বনে পার্বত্য প্রকৃতির দৌরাত্ম্যের একটি বাণীচিত্র অঙ্কন করো।
অথবা, ষোড়শবর্ষীয় যুবকটি যখন পর্বতমালার উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন প্রাকৃতিক অবস্থা কেমন ছিল— তা বর্ণনা করো। (Mark : 5)
❏ ভূমিকা : শাস্ত্র বিশারদ পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাসের ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ পাঠ্যাংশে আমরা বর্ষার সান্ধ্যকালীন পার্বত্য প্রকৃতির এক ভয়ংকর ও সজীব চিত্র পাই। এর প্রতিটি দৃশ্য আমাদের ইন্দ্রিয়ের কাছে বিশেষত শ্রবণেন্দ্রিয় ও দর্শনেন্দ্রিয়ের কাছে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
✱ প্রাকৃতিক দুর্যোগ :
❏ সান্ধ্যকালীন পার্বত্য আকাশের শোভা : আষাঢ়ের এক সন্ধ্যায় শিববীরের বিশ্বস্ত পত্রবাহক অনুচর ঘোড়ায় চড়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে যাত্রা করেন। এইসময় অস্তাচলগামী সূর্যের আভায় দিগন্ত লাল হয়েছে, পশ্চিম দিকে সিঁদুর রঙে রাঙা মেঘের আড়ালে সূর্য প্রবেশ করছে, দেখে মনে হচ্ছে যেন সূর্য সিঁদুরের তরলে স্নান করছে—‘অস্তং জিগমিষুর্ভগবান্ ভাস্করঃ সিন্দূর-দ্রব-স্নাতানামিব ...' । এইসময় চড়ুইপাখিরা বাসায় ফিরে আসছে। সন্ধ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশের অন্ধকার ক্রমশ গাঢ় হয়েছে। ঠিক তখনই দেখা যায় পর্বতমালার চারপাশে মেঘের ঘনঘটা। এই পর্বতশ্রেণিতুল্য মেঘরাজি বিস্তৃত হয়ে সমস্ত আকাশকে ঢেকে ফ্যালে।
❏ পার্বত্য বনভূমির দুর্যোগ : রঘুবীর সিংহ যখন ঘোড়ায় চড়ে পর্বতমালায় আরোহণ করছিলেন, তখন হঠাৎ শুরু হয় প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়। একেই ছিল সন্ধ্যার স্বভাবগত অন্ধকার, তার উপর এই বিপর্যয়ের ফলে তা হয়ে উঠল দ্বিগুণ। ঝড়ে উড়ে আসা ধুলোয়, ঝরে পড়া পাতায় ও ফুলের পরাগে পার্বত্য পথ আচ্ছাদিত হতে লাগল। বনের পর বন, উপত্যকার পর উপত্যকা, অনাবাদি জমি কোথাও আর পথ দেখা যায় না। ক্ষণে ক্ষণে ঘোড়ার খুর মসৃণ পাথরে পিছলে যায়। পর্বতের ধাপে ধাপে গাছের ডালপালা সম্মুখে নড়তে থাকে। এই দুর্যোগে যুবকের ঘোড়াটিও তার স্বভাববৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কখনও ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে থাকে, কখনও মাঝরাস্তা থেকে ফিরে আসতে থাকে, আবার কখনও লাফিয়ে চলতে থাকে .... ঘোটকঃ পাদাভ্যামুত্তিষ্ঠতি, কদাচিচ্চলন্নকস্মাৎ পরিবর্ততে, কদাচিদুৎপ্লুত্য চ গচ্ছতি।' একদিকে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন ব্যক্তিদের শিহরিত করে, কান ফাটিয়ে, বন্যপ্রাণীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে অন্ধকারকে যেমন আগুন দগ্ধ করে, সেইরকম বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। আর অন্যদিকে, আগুনের শিখায় সমস্ত আকাশ আচ্ছাদিত হয়ে গিয়েছে এবং ভয়ংকর শব্দ সমস্ত অরণ্যকে বিদীর্ণ করছে। বর্ষাকালের পার্বত্য বনভূমি এবং তার সঙ্গে এক ঘোড়সওয়ারের কঠোর সংগ্রামের যে বর্ণনা কবির বাণীচিত্রে প্রতিফলিত হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে তা যেন এক ভয়ানক সজীব চিত্র। কবির ভাষার লালিত্যে, ভাবের গাম্ভীর্যে এবং বর্ণনার চমৎকারিত্বে দুর্গম ও দুঃসাহসিক পার্বত্য পথযাত্রা যেন রূপোলি এক চলচ্চিত্র হয়ে উঠেছে।
Q3. 'प्रतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশে উল্লিখিত যুবকটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
অথবা, 'प्रतिज्ञासाधनम्' কাহিনিতে উপস্থিত নায়কের চরিত্র চিত্রণ করো।
অথবা, দৌত্যকর্মে নিযুক্ত যুবকটির চরিত্রের পরিচয় দাও।
অথবা, 'प्रतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশে উল্লিখিত সায়ংসন্ধ্যার বর্ণনা দাও। (Mark : 5)
❏ আচার্য অম্বিকাদত্তব্যাস প্রণীত পাঠ্যাংশের একমাত্র চরিত্র হলেন শিববীরের বিশ্বাসপাত্র, যিনি রঘুবীর সিংহ নামে পরিচিত।
✱ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য :
① পরিশ্রমী : শিবাজির অনুচরের সংক্ষিপ্ত ভূমিকায় প্রথমেই চোখে পড়ে তার পরিশ্রমী গুণটি। তিনি আষাঢ়ের এক সন্ধ্যায় তার প্রভুর গোপনীয় একটি পত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে প্রতিকূল আবহাওয়ায় দুর্গম পার্বত্য পথে রওনা দিয়েছিলেন।
② কর্তব্যপরায়ণতা : যুবকটি শুধুই যে পরিশ্রমী ছিলেন, তা নয়। তিনি ছিলেন একজন সুদর্শন যুবক, যিনি নিজের উপভোগ্য জীবনকে ত্যাগ করে কর্তব্যকর্ম ও দেশপ্রেমের তাগিদে সায়ংকালে বনাঞ্চল ও পার্বত্য উপত্যকাকে অতিক্রম করার সময় ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনা তার সংগ্রামী মানসিকতার পরিচয় বহন করে।
③ আনুগত্য : তিনি ছিলেন একজন ধৈর্যশীল অনুগত অনুচর। প্রতি মুহূর্তে ঘনান্ধকার পার্বত্য পথের ঝড়ঝঞ্ঝাকে উপেক্ষা করে গিয়েছেন। ধৈর্যহারা হয়ে নিজের কর্তব্যকর্ম থেকে পিছপা হননি।
④ সাহসিকতা : শিববীরের বিশ্বস্ত অনুচরটির ছিল অদম্য সাহস। তিনি একাকী পর্বতমালার উপর দিয়ে পত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছিলেন। চতুর্দিক ছিল ঘন অন্ধকারে আবৃত, ফলে ভালো করে পথও দেখা যাচ্ছিল না। মেঘে ঢাকা আকাশ এবং বিদ্যুতের ভয়ংকর গর্জনে চতুর্দিক ভরে গিয়েছিল। ঘোড়ার খুর পাথরে বারবার পিছলে যাচ্ছিল, যে-কোনো মুহূর্তে তার মৃত্যু হতে পারে— তা সত্ত্বেও সাহসী চিত্তের অধিকারী এই যুবক নিজ কার্য থেকে বিরত হননি।
⑤ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ : শিবাজির গুপ্তচর ছিলেন সৎ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যখন যুবকটি যাত্রা শুরু করেছিলেন, তখন ছিল সন্ধ্যার সময় এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। পার্বত্য পথ অত্যন্ত দুর্গম ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসন্ন জেনেও, তিনি নিজ প্রতিজ্ঞা রক্ষার্থে দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে নিজ কার্য সম্পন্ন করতে বেরিয়েছিলেন।
⑥ স্বার্থহীনতা : প্রবাদ আছে ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা'। কিন্তু গুপ্তচরের চরিত্রে এই স্বার্থপরতা ছিল না। তিনি নিজের প্রাণকে উপেক্ষা করে দৃঢ়চিত্তে ও দৃঢ়সংকল্প নিয়ে দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে গিয়েছেন। তার আদর্শ হল—‘কার্যং বা সাধয়েয়ম্ দেহং বা পাতয়েয়ম্’, অর্থাৎ ‘কার্য সম্পাদন করব অথবা প্রাণ বিসর্জন দেব'।
❏ উপসংহার : পরিশেষে উল্লেখযোগ্য, যার প্রভু শিবাজি স্বয়ং পরিশ্রমী, সাহসী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং বিপদকে তুচ্ছ জ্ঞান করেন, তাঁর অনুচর রঘুবীর সিংহের চরিত্রের মধ্যেও যে এই গুণগুলি থাকবে; সেটাই স্বাভাবিক।
Q3. 'हरितेनैव च कञ्चुकेन प्रकटीकृत व्यूढगूढचरता - कार्य:- উদ্ধৃতাংশে 'हरितेन' ও 'कञ्चुकेन' পদের দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? এখানে 'व्यूढगूढचरता - कार्य:' বলতে কোন কার্যের কথা বলা হয়েছে— পাঠ্যাংশানুসারে ব্যাখ্যা করো। (Mark : 2+3 = 5)
❏ পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ গদ্যকাব্যাংশ থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত হয়েছে।
❏ ‘হরিতেন’ ও ‘কঞ্চুকেন’ : ‘হরিত' শব্দের অর্থ হল সবুজ এবং ‘কক’ শব্দের অর্থ বর্ম বা খোলস। আলোচ্যাংশে ‘কঞ্চুকের' (বিশেষ্য পদ) বিশেষণ হরিত। ‘হরিতেন’ ও ‘‘কঞ্চুকেন’–এই পদ দুটি তৃতীয়া বিভক্তিযুক্ত। এই দুই পদের অর্থ হল, সবুজ বর্মের দ্বারা। এখানে গুপ্তচর রঘুবীর সিংহের পরিচয় হরিত বর্ণের ‘কঞ্চুকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
❏ কার্য : পাঠ্যাংশ অনুসারে, মারাঠা কেশরী শিবাজি এক ষোড়শবর্ষীয় যুবককে তাঁর পত্র দিয়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে প্রেরণ করেছিলেন। শিবাজি নির্বাচিত ওই বিশ্বস্ত যুবকটি ছিল সুগঠিত দৃঢ় শরীরের অধিকারী। তার মাথার কালো কোঁকড়ানো চুল তার মুখমণ্ডলের শোভা বৃদ্ধি করেছিল। নিজের কাছে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে – ‘কার্যং বা সাধয়েয়ম্, দেহং বা পাতয়েয়ম্’, অর্থাৎ ‘কার্য সম্পাদন করব বা আমি আমার দেহ বিসর্জন দেব ’। তাই প্রভুর আদেশ মেনে তার কার্যবৃত্তির নিয়ম অনুযায়ী সবুজ পাগড়ি ও বর্ম বা পোশাক পরিধানের মাধ্যমে গুপ্তচর হওয়ার কথা প্রকাশ করে কার্যসম্পাদনে ব্রতী হয়েছিলেন।
Q4. 'प्रतिज्ञासाधनम्' - এর রচয়িতা কে? এই পাঠ্যাংশটিতে যে ভৌগোলিক বর্ণনা রয়েছে- তা নিজের ভাষায় লেখো। (Mark : 1+4 = 5)
❏ ভূমিকা : পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’ গদ্যকাব্য থেকে সংকলিত আমাদের পাঠ্যাংশ হল ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’। অর্থাৎ অম্বিকাদত্তব্যাস-ই হলেন 'প্রতিজ্ঞাসাধনম্' গদ্যকাব্যাংশের রচয়িতা।
❏ ভৌগোলিক বর্ণনা :
✱ প্রসঙ্গ : কবি অম্বিকাদত্তব্যাস তাঁর ‘শিবরাজবিজয়ম্’ গদ্যকাব্যে ছত্রপতি শিবাজির উত্থানের কাহিনি বর্ণনা করেছেন। মারাঠা শক্তি উত্থানের অন্যতম প্রধান কারণ, তাদের অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান। আলোচ্য পাঠ্যাংশে সেই ভৌগোলিক দিকগুলি প্রদর্শিত হয়েছে। তা ছাড়া পাঠ্যাংশে লেখকের ভৌগোলিক জ্ঞানের বিশেষ পরিচয় পাওয়া যায়।
✱ ব্যাখ্যা : পাঠ্যাংশ অনুযায়ী, রঘুবীর সিংহ তার প্রভু শিবাজির পত্র নিয়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে যাচ্ছিলেন। তখন আষাঢ় মাস অর্থাৎ ঋতুবৈচিত্র্যানুযায়ী বর্ষাকাল, ফলত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। আবার প্রবল ঝড়বৃষ্টিও শুরু হয়েছিল। মূলত মারাঠাদের অঞ্চল ছিল পর্বতমালা দ্বারা আবৃত। তাই পাঠ্যাংশে যুবকের যাত্রাপথে বন পর্বত, জলপ্রপাত, মালভূমি আর উপত্যকার পর উপত্যকার কথা বলা হয়েছে। ব্যাসজি এই অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান যুবকের দুর্গম যাত্রাপথের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। আলোচ্য পাঠ্যাংশে অশ্বারোহী যুবকের চরিত্রের মাধ্যমে তিনি এই ভৌগোলিক অবস্থানে মারাঠাদের কঠোর জীবন-জীবিকার দিকটিও আলোকপাত করেছেন।
Q5. 'कार्य वा साधयेयम्, देहं वा पातयेयम्।'- পাঠ্যাংশ অবলম্বনে সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা বা তাৎপর্য লেখো? (Mark : 5)
❏ আলোচ্য প্রতি জ্ঞাসূচক মর্মবাণীটি সাহিত্যাচার্য অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’ থেকে সংকলিত আমাদের পাঠ্য ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ শীর্ষক গদ্যকাব্যাংশ থেকে সংগৃহীত।
❏ প্রসঙ্গ : শিববীরের এক বিশ্বস্ত অনুচর রঘুবীর সিংহ প্রভুর আজ্ঞায় একটি পত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে রওনা হন। সন্ধ্যাকালীন আষাঢ়ে পাহাড়ি পথঘাট দুর্গম হয়ে ওঠে— যে-কোনো সময় প্রাণসংকট হওয়ার সম্ভাবনা। তবুও এই বীর যোদ্ধা প্রভুর আজ্ঞা রক্ষার্থে নিজের কর্তব্য সাধন করতে যে প্রতিজ্ঞা করেন, আলোচ্য উক্তিতে তা নিহিত আছে।
❏ তাৎপর্য: দৃঢ়সংকল্প নিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই দুরূহ কার্য সম্পাদন করা যায়। কারণ পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি। এই শ্রমের দ্বারাই ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব, যা শ্রমহীন বা শ্রমবিমুখ মানুষের কাছে অকল্পনীয় বলে মনে হয়। তাই যে-কোনো সাফল্যের প্রথম শর্ত হল প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম।
বাঙালি সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন ঘোষ ছিলেন একাধারে লেখক ও সাংবাদিক। তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফারসি ভাষায় দক্ষ ছিলেন। তাঁর রচনাবলি মূলত দর্শনভিত্তিক ও সমাজকেন্দ্রিক। কালীপ্রসন্ন ঘোষ বিখ্যাত সাহিত্যিক কালীপ্রসন্ন ঘোষের অমর বাণী — ‘একবার না পারিলে দেখো শতবার।' এই বিষয়ে ইংরেজিতেও একটি প্রবাদ আছে— 'Man is architect of his own fortune' অর্থাৎ ‘মানুষ নিজেই নিজের ভাগ্যের নিয়ন্তা’–যার জন্য প্রয়োজন দৃঢ়সংকল্পের সঙ্গে কঠিন শ্রম ও অদম্য সাহস। আলোচ্য পাঠ্যাংশে শিববীরের বিশ্বস্ত যুবকের ছিল অদম্য সাহস। একনিষ্ঠ কর্তব্য, দৃঢ় প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রতিকূলতাকে জয় করে তোরণদুর্গে পত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন।
Q6. 'प्रतिज्ञासाधनम्' পাঠ্যাংশটি কোন গদ্যকাব্যের অন্তর্ভুক্ত? কাব্যটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়-সহ কাব্যগুণ বর্ণনা করো। (Mark : 1+2+2=5)
❏ উৎস : ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্' পাঠ্যাংশটি আধুনিক সংস্কৃত সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজ বিজয়ম্’ নামক গদ্যকাব্যের অন্তর্ভুক্ত।
❏ শিবরাজবিজয়ম্-এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় : মারাঠা কেশরী ছত্রপতি শিবাজির চরিত্র অবলম্বনে রচিত ‘শিবরাজবিজয়' হল ঐতিহাসিক গদ্যকাব্য। সংস্কৃত অলংকারশাস্ত্রের লক্ষণানুসারে এটি আখ্যায়িকা শ্রেণির গদ্যকাব্য। সমগ্র কাব্যটি তিনটি বিরামে রচিত এবং প্রতিটি বিরাম আবার চারটি করে নিঃশ্বাসে বিভক্ত, নায়ক শিবাজির নামানুসারেই কাব্যটির নামকরণ করা হয়েছে।
❏ বিষয়বস্তু : ‘শিবরাজবিজয়'গ্রন্থের কাহিনি ইতিহাস আধারিত। ইংরেজ শাসকের সঙ্গে শিবাজির নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এই কাব্যটির বিষয়। কাব্যের নায়ক শিববীর অর্থাৎ শিবাজি এবং প্রতিনায়ক হলেন ঔরঙ্গজেব। যবন তথা মোগল শাসনের নাগপাশ থেকে ভারতবর্ষকে মুক্ত করতে তৎপর মারাঠা বীর শিবাজির পুণ্য চরিতগাথার বর্ণনা এই গ্রন্থের মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয়।
❏ কাব্যগুণ : ‘সুকবি’-র প্রথম ঐতিহাসিক উপন্যাস তথা গদ্যকাব্য হল “শিবরাজবিজয়ম্'। বীররসপ্রধান এই কাব্যের রীতি বৈদভী ও গৌড়ী, বিরোধাভাস অলংকারের বিশেষ প্রভাবও লক্ষণীয়। স্বাধীনতার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ শিবাজির অনমনীয় মনোভাব, শৌর্য, রণকৌশল প্রভৃতি বিষয় অসাধারণ কুশলতায়, কাব্যরসসিক্ত ভাষায় চিত্রিত হয়েছে। কাহিনির চরিত্রগুলি জীবন্ত এবং স্ব-স্ব বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। পরম্পরাগত শৈলীর আশ্রয়ে শিবাজি চরিতে রস যোজনা, প্রকৃতি বর্ণনা, অলংকারের প্রয়োগ লক্ষ করা গিয়েছে। পারস্পরিক কথোপকথন ও চরিত্রচিত্রণে কবি অর্বাচীন শৈলীর আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে কাব্যটি প্রাচীন ও আধুনিক ধারার সংগমস্থল হিসেবে বিবেচিত। ‘শিবরাজবিজয়' গদ্যকাব্যে বাণভট্টের কাব্যরীতির সফল প্রয়োগে সুকবি অম্বিকাদত্ত ‘অভিনববাণ’ আখ্যায় ভূষিত হয়েছেন।
Q7. 'स्वेदविन्दुव्रजेन समाच्छादित ... উদ্ধৃতাংশটির দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে? ‘স্বেদবিন্দু শব্দের অর্থ কী? উদ্ধৃতাংশটিতে কোন সৌন্দর্য প্রদর্শিত হয়েছে— তা ব্যাখ্যা করো। (Mark : 1+1+3 = 5)
❏ পণ্ডিত অম্বিকাদত্তব্যাস রচিত ‘শিবরাজবিজয়ম্’ গদ্যকাব্যের প্রথম বিরামের চতুর্থ নিঃশ্বাস থেকে সংকলিত আমাদের পাঠ্যাংশ ‘প্রতিজ্ঞাসাধনম্’ থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত হয়েছে।
❏ উদ্ধৃতাংশটিতে শিবাজির আস্থাভাজন ষোলো বছর বয়সি এক যুবকের কথা বলা হয়েছে।
❏ ‘স্বেদবিন্দু’ শব্দের অর্থ হল ঘামের বিন্দু বা ফোঁটা।
❏ ব্যাখ্যা : মানুষ তার সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য নানা অলংকার পরিধান করে থাকে। আবার কখনও কোনো ব্যক্তির কার্যকলাপ দেখে তার অন্তরের সৌন্দর্য বোঝা যায়। আর সেই কাল্পনিক সৌন্দর্য কাল্পনিক অলংকারেও ভূষিত হয়। আলোচ্য অংশে সেটাই পরিলক্ষিত হয়েছে। শিবাজির আস্থাভাজন বার্তাবাহক ওই যুবক তাঁর পত্র নিয়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে যাচ্ছিলেন। যাত্রার শুরুতেই তিনি কার্য সম্পাদনের সংকল্প করে ঘোড়ার পিঠে চড়ে পর্বতমালার উপর দিয়ে চলেছেন। গুপ্তচরের সাজসজ্জায় যদিও কোনো খামতি ছিল না, তবে দীর্ঘপথ অতিক্রম করায় তিনি শ্রান্ত। তাই তার মাথা, কপাল, নাকের ডগা, উপরের ঠোঁট ঘামের বিন্দুতে আবৃত ছিল। তা সত্ত্বেও তার পদ্মের ন্যায় মুখে প্রসন্নতা দেখা গিয়েছিল। আলোচ্য অংশে তার মুখের প্রসন্নতাকে অলংকারের কাল্পনিক সৌন্দর্য হিসেবে দেখানো হয়েছে।
8. ভাবসম্প্রসারণ করো- 'देहं वा पातयेयं कार्य वा साधयेयम्'?
❐ ভাবসম্প্রসারণ: জগতে সর্বত্রই সিদ্ধিলাভের জন্য সাধনার প্রয়োজন। কারণ প্রবাদ আছে, ‘সাধনায় সিদ্ধিলাভ'। তাই পরিশ্রম ছাড়া যেমন সাধনা হয় না, তেমনই সাধনা ছাড়া সফলতা আসে না ৷ এই বিষয়ে মহামতি চাণক্যের বিখ্যাত নীতিকথাটি উল্লেখযোগ্য— ‘উদ্যমেন হি সিদ্ধন্তি কার্যাণি ন মনোরথৈঃ।' অর্থাৎ উদ্যম-উদ্যোগ-উৎসাহ-প্ৰয়াস-প্রচেষ্টা, নিরলস পরিশ্রম এবং যথার্থ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে একাগ্র কর্মনিষ্ঠাই আনতে পারে সফলতার স্বাদ, যা মনে মনে চিন্তা করে সম্পন্ন করা যায় না।
পৃথিবীতে যাঁরা যশ, খ্যাতি, প্রতিপত্তি বা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সুনাম ও সাফল্য অর্জন করেছেন, তাদের জীবনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তাঁরা কেউই বিনা পরিশ্রমে লক্ষ্যস্থানে পৌঁছতে পারেননি। তাঁদের সাফল্যের পিছনে রয়েছে স্বার্থত্যাগের কঠোর পরিশ্রম তথা কঠোর সাধনা। তাই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে চাই আত্মবিশ্বাস, চাই ত্যাগ ও নিষ্ঠা এবং হতে হবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আর সেইজন্য দরকার মহাত্মাদের অনুকরণের মাধ্যমে অনুশীলন। উদাহরণস্বরূপ মহাত্মা গান্ধীর মহান উক্তি -‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে'-তে উদ্বুদ্ধ হয়ে কোটি কোটি ভারতবাসী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সংগ্রামী হয়েছিলেন। অতএব শ্রমের মাধ্যমেই বিমুখ ভাগ্যকে জয় করতে হবে। প্রতিজ্ঞাপরায়ণ পরিশ্রমী লোকই জীবনযুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
9. 'प्रतिज्ञासाधनम्' গল্পে কার প্রতিজ্ঞার কথা বলা হয়েছে? তিনি কীভাবে তার 'প্রতিজ্ঞাসাধন' করেছিলেন— ব্যাখ্যা করো।
➛ আলোচ্য পাঠ্যাংশে মারাঠা কেশরী শিবাজির বিশ্বস্ত এক যুবকের প্রতিজ্ঞার কথা বলা হয়েছে।
❐ ব্যাখ্যা: ভারতীয় লেখকেরা তাঁদের পূর্বসূরিদের (লেখকদের) অনুসরণ করে বহু কাব্য রচনা করেছেন। অম্বিকাদত্তব্যাসও ব্যতিক্রম নয়। মহাভারত মহাকাব্যে ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা রক্ষা একটি দৃষ্টান্ত। ভারতীয় সমাজ ও সাহিত্যে তার প্রভাব লক্ষ করা যায়। আলোচ্য পাঠ্যাংশে উল্লিখিত যুবকের প্রতিজ্ঞা রক্ষার কাহিনি অতীত ঐতিহ্যকে স্মরণ করায়। আষাঢ় মাসের সন্ধ্যায়, যখন আকাশ ভয়ংকর মেঘে ঢেকে মহান্ধকার সৃষ্টি করেছিল, সেই সময় শিবাজি জরুরিভিত্তিতে পত্র পাঠাতে, ষোড়শ বর্ষীয় এক যুবককে তার পত্র দিয়ে সিংহদুর্গ থেকে তোরণদুর্গে প্রেরণ করেছিলেন। প্রবল মেঘ ও ঝঞ্ঝার ফলে উত্থিত ধুলো, ঝরাপাতা, ফুলের পরাগ, শুকনো ফুলের আস্তরণে স্বাভাবিক অন্ধকার বহুগুণ বেড়ে গিয়ে মহান্ধকার সৃষ্টি করেছিল। পথ দেখা যাচ্ছিল না। চারিদিক বন, পাহাড়, মালভূমি, উপত্যকা আর জলপ্রপাতে পরিপূর্ণ ছিল। ঘোড়ার খুর মসৃণ পাথরে পিছলে যাচ্ছিল। কোথাও সমতলভূমি বা সরল রাস্তা ছিল না। কল্পনরত গাছেদের ও বন্যপ্রাণীদের ভয়ংকর চিৎকারে আকাশ ঢেকে গিয়েছিল। এই দুর্যোগকে উপেক্ষা করে, নিজের জীবনকে বাজি রেখে, তার প্রভুকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করেছিলেন।
