❐ (বৈদিক সাহিত্য) যজুর্বেদ, অথর্ববেদ ও বেদাঙ্গ
মার্ক - ২ পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন নোটস
১. ছন্দ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ লেখো।
➛ আচার্য যাস্ক ‘ছন্দ' শব্দের ব্যুৎপত্তি প্রসঙ্গে বলেছেন— ‘ছন্দাংসি ছাদনাৎ' অর্থাৎ ছন্দ যা মানুষের পাপকে আচ্ছাদন করে। আচার্য সায়ণের মতেও, ‘ছন্দ’ শব্দটি আবরণার্থক। সংবরণার্থক ‘ছদ’ ধাতু থেকে ‘ছন্দ’ শব্দের ব্যুৎপত্তি। তবে পরবর্তীকালে নির্দিষ্ট অক্ষরবিশিষ্ট পদ্যময় রচনাকে ‘ছন্দ’ বলা হয়েছে—‘যদক্ষরপরিমাণং তচ্ছন্দঃ।
২. ছন্দশাস্ত্র কাকে বলে?
➛ যে শাস্ত্রের মাধ্যমে বৈদিক মন্ত্রসমূহ বিশুদ্ধভাবে যথাযথ উচ্চারণ করা যায়, তাকে ছন্দশাস্ত্র বলে। বেদমন্ত্রের নির্ভুল ও সঠিক উচ্চারণের জন্য ছন্দশাস্ত্রের জ্ঞান অপরিহার্য।
৩. বৈদিক ছন্দশাস্ত্রের রচয়িতা কে? তাঁর রচিত গ্রন্থটির নাম লেখো।
➛ বৈদিক ছন্দশাস্ত্রের রচয়িতা পিঙ্গলমুনি। তাঁর রচিত গ্রন্থটি হল ছন্দঃসূত্র।
৪. বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে ছন্দের সংখ্যা কয়টি ও কী কী?
➛ বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে ছন্দের সংখ্যা সাতটি। সেগুলি হল— গায়ত্রী, উষ্নিক, অনুষ্টুপ, বৃহতী, পক্তি, ত্রিষ্টুপ্ এবং জগতী।
৫. বেদপুরুষের শ্রবণেন্দ্রিয় কোনটি? নিরক্ত কী?
➛ বেদপুরুষের শ্রবণেন্দ্রিয় হল নিরুক্ত। বৈদিক মন্ত্রের অর্থজ্ঞানের জন্য প্রয়োজনীয় বেদাঙ্গ হল নিরুক্ত। বৈদিক শব্দগুলির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশ্লেষণ করে তাদের প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করাই হল নিরুক্তের বিষয়বস্তু।
৬. নিরুক্ত শাস্ত্রের রচয়িতা কে? এর বিভাগগুলি কী নামে পরিচিত?
➛ নিরুক্ত শাস্ত্রের রচয়িতা আচার্য যাস্ক। এই শাস্ত্রের বিভাগগুলি ‘কাণ্ড' নামে পরিচিত।
৭. ব্যাকরণ বলতে কী বোঝো?
➛ ‘ব্যাকরণ” শব্দের অর্থ ব্যাকৃত করা। যার অখণ্ড রূপ ভেঙে খণ্ড করা হয়, তাই ব্যাকৃত। যার সাহায্যে ব্যাকৃত করা হয়, তাই ব্যাকরণ। বৈদিক মন্ত্রসমূহ এবং পালনীয় রীতিনীতিগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্য ব্যাকরণের ভূমিকা অপরিহার্য। এটি একটি ভাষা নিয়ন্ত্রণের শাস্ত্র।
৮. ব্যাকরণ-এর কয়টি প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে?
➛ উত্তর ব্যাকরণ-এর পাঁচটি প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে। যথা— রক্ষা, উহ, আগম, লঘু ও অসন্দেহ।
৯. বেদজ্ঞানের অন্যতম উপাদান কোন বেদাঙ্গ? একটি প্রাচীনতম ব্যাকরণগ্রন্থের নাম লেখো।
➛ ব্যাকরণ হল বেদজ্ঞানের অন্যতম উপাদান। পাণিনি বলেছেন— ‘মুখং ব্যাকরণং স্মৃতম্’ অর্থাৎ বেদপুরুষের মুখই হল ব্যাকরণ। একটি প্রাচীনতম ব্যাকরণগ্রন্থ হল অষ্টাধ্যায়ী।
১০. 'অষ্টাধ্যায়ী'-র রচয়িতা কে? গ্রন্থটির এরূপ নামকরণের কারণ কী?
➛‘अष्टाध्यायी'-র রচয়িতা হলেন মহর্ষি পাণিনি । গ্রন্থটি আটটি অধ্যায়বিশিষ্ট হওয়ায় ‘অষ্টাধ্যায়ী’ এরূপ নামকরণ হয়েছে।
১১. সূত্রসাহিত্যের কোন সূত্রে পণ্যমহাযজ্ঞের বিধান মেলে? 'পঞ্চমহাযজ্ঞ' বলতে কী বোঝো?
➛ গৃহসূত্র-এ পঞ্চমহাযজ্ঞের বিধান মেলে। ব্রহ্মযজ্ঞ (অধ্যয়ন-অধ্যাপনের যজ্ঞ), পিতৃযজ্ঞ (অন্ন-জল দ্বারা পিতৃতর্পণ), দেবযজ্ঞ (হোম), ভূতযজ্ঞ (পশুপাখিকে খাদ্যাদি প্রদান করে তৃপ্ত করা) এবং মনুষ্যযজ্ঞ (অতিথিসেবা)-কে একসঙ্গে পঞ্চমহাযজ্ঞ বলে।
১২. ধর্মসূত্রের বিষয়বস্তু কী? উদাহরণ দাও।
➛ ধর্মসূত্রে ধর্মসম্বন্ধীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ উভয় প্রকার বিধিনিষেধ রয়েছে। এখানে চতুর্বর্ণ এবং চতুরাশ্রম বিষয়ক নিয়মাদি লিপিবদ্ধ আছে। কয়েকটি ধর্মসূত্র হল—গৌতম ধর্মসূত্র, আপস্তম্ব ধর্মসূত্র, বৌধায়ন ধর্মসূত্র, বশিষ্ঠ ধর্মসূত্র ইত্যাদি।
১৩. শূল্বসূত্রের বিষয়বস্তু কী?
➛ শূল্বসূত্রে বিভিন্ন প্রকারের যজ্ঞবেদি নির্মাণকালে ভূমির পরিমাপ, বৃত্ত, অর্ধবৃত্ত, ত্রিকোণ, চতুষ্কোণ, আয়তক্ষেত্র, বর্গক্ষেত্র প্রভৃতি আকার নির্ধারণ করার নিয়ম লিপিবদ্ধ রয়েছে। বৈদিক যুগে জ্যামিতিশাস্ত্রের নিদর্শনরূপে শুদ্ধসূত্রগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১৪. বেদাঙ্গের কল্প কী?
➛ বৈদিক আচারানুষ্ঠান বিষয়ক বেদাঙ্গের নাম কল্প। যজ্ঞীয় কর্মানুষ্ঠানের পরিকল্পনা থেকে এর নাম কল্প। ঋগবেদ ভাষ্যোপক্রমণিকায় আচার্য সায়ণ বলেছেন-‘কল্পাতে সমর্থ্যতে যাগপ্রয়োগোত্র।’ যজ্ঞপ্রণালীর বিস্তৃত বিবরণ আলোচিত হয়েছে কল্পশাস্ত্রে। কল্পগুলি সূত্রে রচিত। অন্যান্য বেদাঙ্গের মতো কল্পসূত্রগুলির উৎস হল ব্রাহ্মণ ও আরণ্যক।
১৫. কল্পসূত্রগুলি কয় ভাগে বিভক্ত ও কী কী?
➛ কল্পসূত্রগুলি চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত। সেগুলি হল—শ্রৌতসূত্র, গৃহ্যসূত্র, ধর্মসূত্র এবং শুল্কসূত্র।
১৬. সূত্রসাহিত্য কী?
➛ সূত্রসাহিত্য মূলত বেদের ব্রাহ্মণ ভাগের প্রতিনিধি। ব্রাহ্মণ অংশে বর্ণিত প্রাচীন গাথা, আখ্যায়িকা, ব্যাকরণ ও জটিল শব্দতত্ত্বের আলোচনাকে সহজ-সরল করে যজ্ঞপ্রণালীকে সহজবোধ্য করার জন্য সূত্রসাহিত্যের উদ্ভব ঘটেছে।
১৭. ‘শ্রৌতসূত্র' বলতে কী বোঝো?
➛ সূত্রসাহিত্যের যে শাখায় বৈদিক যজ্ঞের উল্লেখযোগ্য বিধান এবং ব্রাক্ষ্মণসাহিত্যে বর্ণিত শ্রৌতযাগের বিধিনিয়মাদি সূত্রাকারে বর্ণিত আছে, তাকে শ্রৌতসূত্র বলা হয়।
১৮. “বেদাঙ্গ বলতে কী বোঝায়?
➛ বেদের অঙ্গ–ই হল বেদাঙ্গ। ‘অঙ্গ' শব্দের অর্থ অবয়ব। মানুষের শরীরে যেমন হাত, পা প্রভৃতি অবয়ব আছে, তাকে নিয়েই মানুষের দেহ গঠিত হয়; ঠিক তেমনই বেদেরও বিভিন্ন অঙ্গ আছে, যেগুলি নিয়েই বেদ সম্পূর্ণ মূর্তি পরিগ্রহ করে। মোট কথা, বেদ অধ্যয়নের সাহায্যকারী গ্রন্থগুলিকে বেদাঙ্গ বলা হয় ৷ ‘ব্রাহ্মণেন নিষ্কারণঃ ষড়ঙ্গঃ বেদোহধ্যেয়ো জ্ঞেয়শ্চ’ অর্থাৎ একজন ব্রাক্ষ্মণকে ছয়টি অঙ্গ-সহ বেদ অবশ্যই জানতে হবে।
১৯. সর্বপ্রথম কোথায় বেদাঙ্গের উল্লেখ পাওয়া যায়? বেদাঙ্গ কয়টি ও কী কী?
➛ সর্বপ্রথম বেদাঙ্গের উল্লেখ পাওয়া যায় ষড়বিংশ ব্রাহ্মণে। বলা হয়েছে—‘চত্বারোঽস্যৈ বেদাঃ শরীরং ষড়ঙ্গান্যঙ্গানি'। বেদাঙ্গ ছয়টি—শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ ও জ্যোতিষ।
২০. অথবাবদ বলতে কী বোঝো?
➛ ‘অথবন্’ শব্দের অর্থ ইন্দ্রজালমূলক বিদ্যা এবং অথর্ববেদের আদি নাম হল অথবাঙ্গিরসবেদ। অথর্বজনিত মন্ত্রসমূহের দ্বারা ব্যাধিনিরাময়, অনাবৃষ্টি নিবারণ, শান্তি প্রভৃতি শুভকর্ম, আর আঙ্গিরস বিষয়ক মন্ত্রসমূহের দ্বারা শত্রুবধ, বশীকরণ, মারণ, উচাটনাদি অশুভকর্ম পরিচালিত হত। সুতরাং, এই শুভজনক অথবন এবং অশুভজনক আঙ্গিরস—উভয় শ্রেণির মন্ত্র যে বেদে আছে, তাই হল অথর্বাঙ্গিরসবেদ বা অথর্ববেদ।
২১. 'অথর্ববেদ-এর 'অথর্ব শব্দের অর্থ কী?
➛ ‘অথব' শব্দের অর্থ হল গতিহীনতা বা স্থিরতা। ‘নিরুক্ত’ গ্রন্থে উল্লিখিত পূর্ব ধাতুর অর্থ গতি বা চেষ্টা, সুতরাং ‘অথব’ শব্দের অর্থ—গতিহীন বা স্থির।
২২. অথর্ববেদ-এর প্রাচীন নাম কী? 'অথর্ববেদ-কে অথর্বাঙ্গিরসবেদ বলা হয়েছে কেন?
➛ অথর্ববেদের প্রাচীন নাম হল অথর্বাঙ্গিরসবেদ। অথর্ব + আঙ্গিরস = অথর্বাঙ্গিরস। অথর্বন্ হল ভেষজবিদ্যা, শান্তি ও শুভকার্যাদি এবং আঙ্গিরস হল শত্রুবধাদি মারণ, উচাটন প্রভৃতি অশুভজনক মন্ত্র। অর্থাৎ শুভাশুভজনক বিদ্যা অথর্ববেদে আছে বলেই নাম হয়েছে ‘অথর্বাঙ্গিরসবেদ।'
২৩. উপনিষদকে 'বেদান্ত' বলা হয় কেন? ‘কঠোপনিষদ কোন বেদের অন্তর্গত?
➛ মন্ত্র, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ-বেদের এই চারটি ভাগের মধ্যে উপনিষদ বেদের অন্তিম ভাগ। তাই এর অপর নাম বেদান্ত। ‘কঠোপনিষদ’ কৃষ্ণযজুর্বেদের কঠসংহিতার অন্তর্গত।
২৪. বেদের বৃহত্তম ব্রাহ্মণটির নাম কী? এটি কোন বেদের সঙ্গে যুক্ত?
➛ বেদের বৃহত্তম ব্রাহ্মণটির নাম হল শতপথ ব্রাক্ষ্মণ। এটি শুক্লযজুর্বেদের সঙ্গে যুক্ত।
২৫. যজুর্বেদের অপর নাম ‘অধ্বর্যুবেদ’ কেন?
➛ যজুর্বেদের প্রধান পুরোহিত অধ্বর্যু। যাগানুষ্ঠানে তাঁরই প্রধান ভূমিকা। ‘অধ্বরং যুক্তীতি (অধ্বরঃ) অধ্বর্ষঃ” অর্থাৎ যজ্ঞকে যিনি যুক্ত বা সম্পাদিত করেন, তিনি অধ্বর্ষু। তাই যজ্ঞপ্রধান যজুর্বেদের অপর নাম ‘অধ্বর্যুবেদ’।
২৬. যজুর্বেদের কয়টি বিভাগ ? বিভাগগুলির পরিচয় দাও।
অথবা, যজুঃসংহিতার কয়টি ভাগ ও কী কী?
➛ ‘যজুর্বেদ' মুখ্যরূপে দুইভাগে বিভক্ত। বিভাগগুলি হল— কৃষ্ণজুর্বেদ এবং শুক্লযজুর্বেদ। এবং কৃষ্ণজুর্বেদ ব্রহ্মসম্প্রদায় এবং শুক্লযজুর্বেদ আদিত্য সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিগণিত হয়।
২৭. শুক্লযজুর্বেদের অপর নাম কী? এই বেদের পুরোহিতের নাম কী?
➛ শুক্লযজুর্বেদের অপর নাম বাজসনেয়ী সংহিতা। শুক্লযজুর্বেদের পুরোহিত হলেন অধ্বর্যু।
গদ্য | |
---|---|
প্রতিজ্ঞাসাধনম্ (অম্বিকাদত্তব্যাস) | Click Here |
পদ্য | |
ঋতুচর্যা (মহর্ষি চরক) | Click Here |
দৃশ্যকাব্য | |
দানবীরঃ কর্ণঃ – (মহাকবি ভাস) | Click Here |
ব্যাকরণ | |
সন্ধি | Click Here |
শব্দরূপ | Click Here |
প্রত্যয় | Click Here |
ধাতুরূপ | Click Here |
সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস | |
বৈদিক সাহিত্য | Click Here |
বৈয়াসিক-মহাভারত | Click Here |
সংস্কৃত গীতিকাব্য | Click Here |
২৮. ‘অনুবাক্যা' কাকে বলে?
➛ যজ্ঞের আহুতি গ্রহণকালে যে মন্ত্র পাঠ করা হয়, তাকে ‘অনুবাক্যা’ বলা হয়।
২৯. মন্ত্রের অপর নাম কী ? 'মন্ত্র' কাকে বলে?
➛ মন্ত্রভাগের অপর নাম সংহিতা (জ্ঞানকাণ্ড)। বেদের যে অংশে দেবতাদের উদ্দেশ্য স্তব, স্তুতি, দেবমহিমা কীর্তন, দেবতাদের আহ্বান, অভীষ্ট বস্তুর প্রার্থনা বর্ণিত আছে, তাকে ‘মন্ত্র’ বলে। এটি হল বেদের জ্ঞানকাণ্ড। গদ্য এবং পদ্য উভয় রীতিতেই বেদের মন্ত্রভাগ রচিত হয়েছে।
৩০. বেদ বিভাজন কে করেন এবং তাঁর লেখা মহাকাব্যটির নাম কী?
➛ বেদ বিভাজন করেন বেদব্যাস এবং তাঁর লেখা মহাকাব্যটি হল ‘মহাভারত’।
৩১. বেদের স্বর কয়টি ও কী কী?
➛ বেদে তিন প্রকার স্বর দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলি হল- উদাত্ত, অনুদাত্ত এবং স্বরিত।
৩২.'বেদ' কাকে বলে?
➛ ‘বেদ’ কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল পরমজ্ঞান বা অতীন্দ্রিয় জ্ঞান। যে শাস্ত্র পাঠ করলে অতীন্দ্রিয় বা পরম জ্ঞানলাভ করা যায়, তাকে ‘বেদ’ বলা হয়।
৩৩. বেদকে কী কী নামে ডাকা হয়?
➛ বেদকে শ্রুতি, ত্রয়ী, আম্মায়, ছন্দস্, আগম প্রভৃতি নামে ডাকা হয়।
৩৫. ‘বেদ' -এর অপর নাম 'শ্রুতি' কেন?
➛ গুরুশিষ্য পরম্পরায় বেদমন্ত্র শ্রবণের মাধ্যমেই রক্ষিত হত, এর কোনো লিখিত উপাদান ছিল না। তাই বেদের অপর নাম ‘শ্রুতি’।
৩৬. ‘বেদ অপৌরুষেয়—কথাটির তাৎপর্য লেখো।
➛বেদের চারটি ভাগ ঋগবেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ এবং অথর্ববেদ। এই বেদগুলিতে সংকলিত মন্ত্রগুলি দেবতাদের দ্বারা সৃষ্ট হয়ে ঋষিদের নিকট ধ্যানের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়; এটি কোনো মানুষের সৃষ্টি নয়। একারণেই বেদকে ‘অপৌরুষেয়’ বলা হয়।