একাদশ শ্রেণি দ্বিতীয় সেমিস্টার সংস্কৃত ব্যাকরণ শব্দরূপ

Esita Afrose
0
একাদশ শ্রেণি দ্বিতীয় সেমিস্টার সংস্কৃত ব্যাকরণ শব্দরূপ
 
Class 11 Sanskirt
একাদশ শ্রেনী সংস্কৃত সিলেবাস | দ্বিতীয় সেমিস্টার
গদ্য
প্রতিজ্ঞাসাধনম্ (অম্বিকাদত্তব্যাস) Click Here
পদ্য
ঋতুচর্যা (মহর্ষি চরক) Click Here
দৃশ্যকাব্য
দানবীরঃ কর্ণঃ – (মহাকবি ভাস) Click Here
ব্যাকরণ
সন্ধি Click Here
শব্দরূপ Click Here
প্রত্যয় Click Here
ধাতুরূপ Click Here
সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস
বৈদিক সাহিত্য Click Here
বৈয়াসিক-মহাভারত Click Here
সংস্কৃত গীতিকাব্য Click Here


  শব্দরূপ : অধ্যায় সংক্ষেপে  

𒀭𒀭 শব্দ : কতগুলি অর্থযুক্ত বর্ণের সমষ্টি হল শব্দ। এইরকম কতগুলি শব্দ পাশাপাশি বসে একটি বাক্যের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে । কিন্তু সংস্কৃত ব্যাকরণে ‘শব্দ' বলতে সুবন্ত (সুপ্ + অন্ত) শব্দকে বোঝায় ৷ এই সুপ্ হল একপ্রকার বিভক্তি ।

𒀭বিভক্তির পরিচয় : যার দ্বারা শব্দের সংখ্যা ও কারক প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ হয়, তাকে ‘বিভক্তি’বলা হয় ‘সংখ্যাকারকবোধয়িত্রী বিভক্তিঃ’। যথা—‘বালকঃ' পদের দ্বারা একটি, ‘বালকৌ’ পদের দ্বারা দুইটি এবং ‘বালকাঃ’ পদের দ্বারা অনেক বালককে বোঝায়। বিভক্তি দুপ্রকার। যথা— ① ‘সুপ্’ বিভক্তি বা শব্দ বিভক্তি এবং ② ‘তিঙ' বিভক্তি বা ধাতু বিভক্তি।

𒀭 সুপ্ বিভক্তি : ধাতু, প্রত্যয় বা প্রত্যয়ান্ত শব্দ এবং বিভক্তি শূন্য অর্থবোধক শব্দকে প্রাতিপদিক বলে। যথা-‘বালক’, ‘শিশু’, ‘নদী’ এগুলি প্রাতিপদিক, কারণ এখানে কোনো বিভক্তি যুক্ত নেই। এই প্রাতিপদিক বা অর্থযুক্ত শব্দের পর সুপ্ বিভক্তি যুক্ত হয়। শব্দের পরে বিভক্তি অর্থাৎ প্রথমা, দ্বিতীয়া ইত্যাদি সুপ্ বিভক্তি বা তিঙ্‌ বিভক্তি যুক্ত হয়ে পদ গঠন করে (প্রাতিপদিক + বিভক্তি = পদ)। আর সংস্কৃত বাক্যে সবসময়ই ‘পদ’ প্রযুক্ত হয়, শব্দ কখনও বাক্যে প্রযুক্ত হয় না।

সুপ্ বিভক্তি সাতটি—প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী। সম্বোধন কোনো আলাদা বিভক্তি নয়, এটি প্রথমা বিভক্তিরই একটি বিশেষ রূপ মাত্র। প্রত্যেক বিভক্তির তিনটি করে বচন আছে। তাই সুপ্ বিভক্তির রূপ মোট ৭ × ৩ = ২১ টি। একবচন দ্বারা একটি, দ্বিবচন দ্বারা দুটি এবং বহুবচন দ্বারা দুটির বেশি সংখ্যাকে বোঝায়।

𒀭𒀭 অজন্ত শব্দ
যেসব শব্দের শেষের বর্ণটি স্বরবর্ণ, তাদের নাম স্বরান্ত শব্দ বা অজন্ত শব্দ। অজন্ত অর্থাৎ অচ্ (মাহেশ্বর সূত্রে অচ্ = স্বরবর্ণ ) অন্তে যার। যেমন—বালক (শেষে-অ); কবি (শেষে-ই); লতা (শেষে-আ); নদী (শেষে-ঈ); সাধু (শেষে-উ); বধু (শেষে-উ); পিতৃ (শেষে-ঋ); গো (শেষে-ও) ইত্যাদি। শেষে যে স্বরবর্ণ থাকে ওই শব্দকে সেই ‘কারান্ত শব্দ' বলে। যেমন—অ-কারান্ত, ই-কারান্ত এবং ও-কারান্ত শব্দ ইত্যাদি। লিঙ্গভেদে স্বরান্ত শব্দগুলি তিন ভাগে বিভক্ত—স্বরান্ত পুংলিঙ্গ, স্বরান্ত স্ত্রীলিঙ্গ এবং স্বরান্ত ক্লীবলিঙ্গ শব্দ ।

𒀭𒀭 হলন্ত শব্দ
 যেসব শব্দের শেষে ব্যঞ্জনবর্ণ থাকে, তাদের বলে ব্যঞ্জনান্ত শব্দ। এগুলি হলন্ত শব্দ নামেও পরিচিত। হলন্ত অর্থাৎ হল (মাহেশ্বর সূত্রে হল্ = ব্যঞ্জনবর্ণ) অন্তে আছে যার। শব্দের শেষের ব্যঞ্জনধ্বনিটি এবং তার আগের স্বরধ্বনিটিকে একসঙ্গে নিয়ে গঠিত শব্দটিকে সেই ‘ভাগান্ত শব্দ' বলা হয়। যেমন— র্ + আ + জ্ + অ + ন্। এখানে শেষ ব্যঞ্জনধ্বনি ‘ন্’ এবং ন্-এর ঠিক আগের স্বরধ্বনিটি হল ‘অ’। এভাবে ‘রাজন্’ শব্দটি অন্-ভাগান্ত ৷ এরূপ আরও শব্দ হল পথিন্ (ইন্‌-ভাগান্ত), সুহৃদ্ (দ্-কারান্ত), ধাবৎ (ত্-কারান্ত) ইত্যাদি।

𒀭𒀭 সর্বনাম শব্দ 
সর্বাদি শব্দকে সর্বনাম বলে—সর্বাদীনি সর্বনামানি’। রূপের বৈসাদৃশ্য অনুসারে সর্বনাম শব্দ পাঁচ শ্রেণিতে বিভক্ত। যথা—  ① সর্বাদি : সর্ব, বিশ্ব, উভ, উভয়, এক, একতর, সম, দ্বি প্রভৃতি। ② অন্যাদি : অন্য, অন্যতর, ইতর, কতর, কতম, যতর, যতম, ডতর, ডতম প্রভৃতি। ③ পূর্বাদি : পূর্ব, পর, অপর, অবর, অধর, দক্ষিণ, উত্তর, অন্তর, স্ব। ④ যদাদি : যদ্, তদ্, এতদ্, ত্যদ্, কিম্ । ⑤ ইদমাদি : ইদম্, অদস্, যুম্মদ, অস্মদ্, ভবৎ । সর্বনাম শব্দের সম্বোধনে প্রয়োগ অতি বিরল, তাই দেওয়া হল না।

𒀭𒀭 সংখ্যাবাচক শব্দ 
যেসব শব্দের দ্বারা কোনো সংখ্যা বোঝায়, তাদের সংখ্যাবাচক শব্দ বলে। এই সংখ্যাবাচক শব্দ দুটি ভাগে বিভক্ত— সংখ্যা এবং সংখ্যেয়, এগুলির মধ্যে সংখ্যা বিশেষ্য এবং সংখ্যেয় বিশেষণ ।

সংখ্যাবাচক শব্দের বিশেষত্ব : ① এক থেকে চার পর্যন্ত শব্দ বিশেষ্য পদের লিঙ্গ, বিভক্তি ও বচন প্রাপ্ত হয়। অর্থাৎ বিশেষ্য পদের বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন—একঃ নরঃ, দ্বে বালিকে, ত্রীণি ফলানি। ② ‘এক' শব্দ তিন লিঙ্গেই সর্ব শব্দের মতো। এটি সংখ্যা অর্থে একবচনে ব্যবহৃত হয়, তবে ‘কেও কেও’ অর্থে এটি বহুবচনে-ও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যথা— একে বদন্তি। ③ ‘দ্বি’ শব্দ দ্বিবচনান্ত, ‘ত্রি’ ও চতুর্’ শব্দ বহুবচনান্ত। এদের তিন লিঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন রূপ হয়। যেমন-চারজন ভাই-চত্বারঃ ভ্রাতরঃ তিন দিকে-তি্যু দিক্ষু, চারটি কাঠ-চত্বারি দারুনি। ④ ‘পঞ্ঝন্’ থেকে আরম্ভ করে সমস্ত সংখ্যাবাচক শব্দ বিশেষ্যের লিঙ্গ অনুসারে পরিবর্তিত হয় না। পঞ্ঝন্ থেকে অষ্টাদশ পর্যন্ত শব্দগুলি বহুবচন এবং এদের তিন লিঙ্গেই একই রূপ হয় ⑤ উনবিংশতি (উনিশ) থেকে নবনবতি (নিরানব্বই) পর্যন্ত শব্দগুলি বহুবচনে প্রয়োগ হলেও শব্দগুলি একবচনান্ত। এই শব্দগুলি যদি বিশেষ্য হয় তবে তিন বচনেই ব্যবহৃত হয়। বিংশতি, সপ্ততি প্রভৃতি শব্দের রূপ ‘মতি’শব্দের মতো। ত্রিংশৎ, চত্বারিংশৎ প্রভৃতি
শব্দের রূপ ‘ভূভৃৎ’শব্দের মতো। ⑥ ‘শত’, ‘সহস্ৰ’, ‘অযুত’, 'লক্ষ' প্রভৃতি শব্দগুলি ক্লীবলিঙ্গ ‘ফল’ শব্দের মতো। ‘কোটি’ শব্দের রূপ ‘মতি’ শব্দের ন্যায়।

  Suggestion Questions  
১. 'शिशु' শব্দ তৃতীয়ান একবচন ও বহুবচনে রূপ কী?
➺  'শিশু' শব্দের তৃতীয়ার একবচন ও বহুবচনের রূপটি হল যথাক্রমে—শিশুনা, শিশুভিঃ
২. 'साधु' শব্দের চতুর্থীর একবচন ও দ্বিবচনের রূপ কী?
➺ ‘সাধু' শব্দের চতুর্থীর একবচন ও দ্বিবচনের রূপটি হল যথাক্রমে—সাধবে, সাধুভ্যাম।
৩. 'बन्धु ' শব্দের পঞ্চমীর একবচন ও বহুবচনের রূপ কী?
➺ 'বন্ধু' শব্দের পঞ্চমীর একবচন ও বহুবচনের রূপটি হল যথাক্রমে —বন্ধোঃ, বন্ধুভ্যঃ।
৪. 'মা' শব্দের ষষ্ঠীর দ্বিবচন ও বহুবচনের রূপ কী?
➺ ‘পশু” শব্দের ষষ্ঠীর দ্বিবচন ও বহুবচনের রূপটি হল যথাক্রমে— পশ্বোঃ, পশূনাম।
৫. 'गुरु' শব্দের সপ্তমীর একবচন ও বহুবচনের রূপ কী?
➺ ‘গুরু' শব্দের সপ্তমীর একবচন ও বহুবচনের রূপটি হল যথাক্রমে— গুরৌ, গুরুষু।
৬. ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করে 'शिशुना'।
অথবা, 'शिशुना' পদটির মূলশব্দটি লেখা।
➺ শিশুনা হল পুংলিঙ্গবাচক উ-কারান্ত শিশু" শব্দের তৃতীয়ার একবচন। 
৭. 'मातृ' শব্দের মতো ঋ-কারান্ত স্ত্রীলিঙ্গবাচক দুটি শব্দ লেখো?
➺ 'মাতৃ' শব্দের মতো ঋ-কারান্ত স্ত্রীলিঙ্গবাচক দুটি শব্দ হল— দুহিতৃ ও যাতৃ।
৮. ‘मातृ' শব্দের তৃতীয়ার দ্বিবচন ও বহুবচন কী কী?
➺ মাতৃ শব্দের তৃতীয়ার দ্বিবচন ও বহুবচন হল যথাক্রমে—মাতৃভ্যাম্, মাতৃভিঃ।
৯. 'मातरम्'- এটি কোন বিভক্তিযুক্ত পদ? এরূপ অপর একটি শব্দরূপ লেখো।
➺ ‘মাতরম'-এটি দ্বিতীয়া বিভক্তিযুক্ত পদ। 'এরূপ 'দুহিতৃ' শব্দের দ্বিতীয়ার একবচনের রূপটি হল দুহিতরম্।
১০. ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করো- 'ते'।
➺ স্ত্রীলিঙ্গ ও ক্লীবলিঙ্গে তদ্ শব্দের প্রথমা ও দ্বিতীয়ার দ্বিবচনের রূপ হল ‘তে’। এ ছাড়াও পুংলিঙ্গে ‘তদ্' শব্দের প্রথমার বহুবচন হল ‘তে’।
১১. ‘তস্য’ পদটিতে কোন বিভক্তি ও কোন বচন যুক্ত হয়েছে?
➺ ‘তস্য' পদটিতে ষষ্ঠী বিভক্তি ও একবচন প্রযুক্ত হয়েছে। ‘তস্য’ পদটি পুংলিঙ্গ ও ক্লীবলিঙ্গবাচক তদ্ শব্দের রূপ।

𒀭 Previous Year Exam Question - 2007 to 2019 
১. আত্মন, সম্বোধন- একবচনম্
➺ আত্মন্
২. ইদম্, তৃতীয়া-একচনম্
➺ অনেন (পুংলিঙ্গ ও ক্লীবলিঙ্গ), অনয়া (স্ত্রীলিঙ্গ)
৩. ইদম্ (স্ত্রী), ষষ্ঠী - বহুবচনম্
➺ আসাম্
৪. কর্মন্, দ্বিতীয়া-দ্বিবচনম্
➺ কৰ্মণী
৫. কর্মন্, সপ্তমী-বহুবচনম্
➺ কর্মসু
৬. গুণিন্, ষষ্ঠী-বহুবচনম্
➺ গুণিনাম্‌
৭. চতুর্ (ক্লীব), দ্বিতীয়া)
➺ চত্বারি
৮. তদ্ (পুং), চতুর্থী-একবচনম্
➺ তস্মৈ
৯. ত্রি (স্ত্রী), প্রথমা
➺ তিস্রঃ
১০. ত্রি, ক্লীবলিঙ্গ-প্রথমা)
➺ ত্রীণি
১১. দাতৃ, দ্বিতীয়া-বহুবচনম্
➺ দাতৃন্
১২. দুহিতৃ, সপ্তমী-একবচনম্
➺ দুহিতরি
১৩. দুহিতৃ, দ্বিতীয়া-বহুবচনম্
➺ দুহিতৃঃ
১৪. ধনু, ষষ্ঠী-দ্বিবচনম্
➺ ধেম্বোঃ
১৫. পথিন্, সপ্তমী-একবচনম্
➺ পথি
১৬. পথিন্, দ্বিতীয়া-বহুবচনম্
➺ পথঃ
১৭. পথিন, প্রথমা একবচনম্
➺ পন্থাঃ
১৮. পথি, তৃতীয়া- একবচনম্
➺ পথা
১৯. ভ্রাতৃ, ষষ্ঠী-দ্বিবচনম্
➺ ভ্ৰাত্রোঃ
২০. মধু, তৃতীয়া-একবচনম
➺ মধুনা
২১. মধু, দ্বিতীয়া-দ্বিবচনম্
➺ মধুনী
২২. মাতৃ, দ্বিতীয়া-বহুবচনম্
➺ মাতৃঃ
২৩. রিপু, ষষ্ঠী-বহুবচনম্
➺ রিপূণাম্‌
২৪. সাধু, দ্বিতীয়া-বহুবচনম্
➺ সাধু
২৫. সাধু, প্রথমা-বহুবচন
➺ সাধবঃ
২৬. সাধু, সপ্তমী-বহুবচনম্
➺ সাধু
২৭. সর্ব (স্ত্রী), ষষ্ঠী-বহুবচনম্
➺ সর্বাসাম্
২৮. গুণিন্, সপ্তমী-একবচনম্
➺ গুণিনি
২৯. ত্রি (স্ত্রী), তৃতীয়া)
➺ তিসৃভিঃ
৩০. পিতৃ, দ্বিতীয়া-একবচনম্
➺ পিতরম্
৩১. পিতৃ, ষষ্ঠী-বহুবচনম্
➺ পিতৃণাম্‌
৩২. পথিন্, দ্বিতীয়া-বহুবচনম্
➺ পথঃ
৩৩. মাতৃ, তৃতীয়া-একবচনম্
➺ মাত্রা
৩৪. মাতৃ, পঞ্চমী-একবচনম্
➺ মাতুঃ
৩৫. রাজন্, ষষ্ঠী-দ্বিবচনম্
➺ রাজ্ঞোঃ
৩৬. সাধু, ষষ্ঠী-বহুবচনম্
➺ সাধূনাম্‌

Tags : class 11 sanskrit saq suggestion 2025, class 11 sanskrit suggestion 2025 bakaron, class 11 sanskrit semester 2 sobdorup * in sanskrit, class 11 sanskrit sanskrit, class 11 sanskrit subject, class 11 sanskrit second chapter, class 11 sanskrit shlok, class 11 sanskrit saq,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)